অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ বাড়ছেই: রয়টার্সের প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭-০৫-২০২৫ ১১:৩৬

ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে। শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এ সরকার এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক সংকট এবং প্রশাসনিক অচলাবস্থার এক জটিল বাস্তবতার মুখোমুখি।
সোমবার (২৬ মে) প্রকাশিত বার্তা সংস্থা রয়টার্স-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন। তাদের মূল দাবি- বেতন বৃদ্ধিসহ সুযোগ-সুবিধার সমতা নিশ্চিত করা।
একই সময়ে সরকারি কর্মচারীরাও লাগাতার বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের ক্ষোভের মূল কারণ সরকার কর্তৃক জারি করা একটি অধ্যাদেশ, যা অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোনো প্রকার শুনানি ছাড়াই কর্মচারীদের বরখাস্ত করতে পারবে। বিক্ষোভকারীরা এই পদক্ষেপকে ‘দমনমূলক’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।
সরকার যখন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুটি নতুন বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন রাজস্ব কর্মকর্তারাও প্রতিবাদে সামিল হন। তাদের আন্দোলনের মুখে সরকার অবশেষে সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা ও স্থগিত করতে বাধ্য হয়।
ড. ইউনূস ২০২৪ সালের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত চলে যাওয়ার পর। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তার সরকার নির্বাচনের সময়সূচি, রাজনৈতিক সংস্কার ও রাজনৈতিক নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে একের পর এক সংকটে পড়ছে।
ড. ইউনূস জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি চলতি বছর ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়, যা সরকারের ঘোষিত সময়সীমার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ছাত্রনেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) ইতোমধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলো সময়মতো নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যুতে একমত না হলে ড. ইউনূস পদত্যাগ করতে পারেন। তবে ইউনূসের ঘনিষ্ঠ অর্থনীতিবিদ এবং সরকার উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, আমরা কাজ শেষ না করা পর্যন্ত কোথাও যাচ্ছি না।
এদিকে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান প্রকাশ্যে এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানান। এই বার্তাকে অনেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একধরনের চাপ হিসেবেই দেখছেন।
রাজনৈতিক অঙ্গনে আরো উত্তেজনা ছড়ায় যখন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন, যার ফলে দলটি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দলের বিরুদ্ধে সহিংসতা, দুর্নীতি ও রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ড. ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আমরা এক ধরনের যুদ্ধাবস্থার মধ্যে আছি। আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ কার্যক্রমের পর আমাদের সরকারের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির নানা চেষ্টাও চলছে। এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
রয়টার্সের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দুই বিপরীতমুখী চাপের মধ্যে পড়ে গেছে- একদিকে দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান, অন্যদিকে কাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কার বাস্তবায়নের প্রয়োজন। এই দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতিতে সরকার এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
সোমবার (২৬ মে) প্রকাশিত বার্তা সংস্থা রয়টার্স-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন। তাদের মূল দাবি- বেতন বৃদ্ধিসহ সুযোগ-সুবিধার সমতা নিশ্চিত করা।
একই সময়ে সরকারি কর্মচারীরাও লাগাতার বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের ক্ষোভের মূল কারণ সরকার কর্তৃক জারি করা একটি অধ্যাদেশ, যা অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোনো প্রকার শুনানি ছাড়াই কর্মচারীদের বরখাস্ত করতে পারবে। বিক্ষোভকারীরা এই পদক্ষেপকে ‘দমনমূলক’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।
সরকার যখন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুটি নতুন বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন রাজস্ব কর্মকর্তারাও প্রতিবাদে সামিল হন। তাদের আন্দোলনের মুখে সরকার অবশেষে সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা ও স্থগিত করতে বাধ্য হয়।
ড. ইউনূস ২০২৪ সালের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত চলে যাওয়ার পর। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তার সরকার নির্বাচনের সময়সূচি, রাজনৈতিক সংস্কার ও রাজনৈতিক নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে একের পর এক সংকটে পড়ছে।
ড. ইউনূস জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি চলতি বছর ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়, যা সরকারের ঘোষিত সময়সীমার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ছাত্রনেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) ইতোমধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলো সময়মতো নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যুতে একমত না হলে ড. ইউনূস পদত্যাগ করতে পারেন। তবে ইউনূসের ঘনিষ্ঠ অর্থনীতিবিদ এবং সরকার উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, আমরা কাজ শেষ না করা পর্যন্ত কোথাও যাচ্ছি না।
এদিকে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান প্রকাশ্যে এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানান। এই বার্তাকে অনেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একধরনের চাপ হিসেবেই দেখছেন।
রাজনৈতিক অঙ্গনে আরো উত্তেজনা ছড়ায় যখন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন, যার ফলে দলটি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দলের বিরুদ্ধে সহিংসতা, দুর্নীতি ও রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ড. ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আমরা এক ধরনের যুদ্ধাবস্থার মধ্যে আছি। আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ কার্যক্রমের পর আমাদের সরকারের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির নানা চেষ্টাও চলছে। এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
রয়টার্সের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দুই বিপরীতমুখী চাপের মধ্যে পড়ে গেছে- একদিকে দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান, অন্যদিকে কাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কার বাস্তবায়নের প্রয়োজন। এই দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতিতে সরকার এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com