ইস্টার সানডে আজ
প্রকাশ : ২০-০৪-২০২৫ ১৪:৩৫

ছবি : সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘ইস্টার সানডে’ বা যিশু খ্রিষ্টের পুনরুত্থান দিবস আজ রবিবার (২০ এপ্রিল)। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছে দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সংবেদনশীল এবং আনন্দের।
খ্রিষ্টান ধর্ম মতে, এই দিনে ঈশ্বরপুত্র যিশু মৃত্যুকে জয় করে পুনরুত্থিত হয়ে তাদের পাপ থেকে মুক্ত করেছিলেন। পুণ্য শুক্রবার বা গুড ফ্রাইডেতে বিপৎগামী ইহুদি শাসকগোষ্ঠী তাদের কুসংস্কারাচ্ছন্ন শাসনব্যবস্থা অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে যিশুকে অন্যায়ভাবে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করেছিল। মৃত্যুর তৃতীয় দিবস রবিবার তিনি মৃত্যু থেকে জেগে ওঠেন। তাই যিশুর পুনরুত্থানের এই রবিবারকে ইস্টার সানডে বলা হয়।
আজকের দিনে, বিশ্বজুড়ে খ্রিষ্টানরা বিশেষ প্রার্থনা সভা ও উপাসনায় অংশ নিচ্ছেন। বিভিন্ন চার্চ সেজে উঠেছে রঙিন আলো ও ফুলে। এদিন যিশুর পুনরুত্থানের বার্তা পাঠ করা হয় এবং সকলে একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ইস্টার সানডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য হলো ইস্টার ডিম এবং ইস্টার বানি। ডিম নতুন জীবন ও উর্বরতার প্রতীক, অন্যদিকে ইস্টার বানি (খরগোশ) আনন্দ ও প্রাচুর্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। শিশুরা আজ রঙিন ডিম খুঁজে বের করার খেলায় মেতে উঠেছে এবং ইস্টার বানির কাছ থেকে মিষ্টি ও উপহার পাচ্ছে।
বিভিন্ন দেশে ইস্টার সানডে উদযাপনের নিজস্ব ঐতিহ্য রয়েছে। কোথাও বিশেষ ভোজের আয়োজন করা হয়েছে, আবার কোথাও শোভাযাত্রা ও লোকনৃত্য অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে, উৎসবের মূল সুর একই - যিশুর পুনরুত্থানের আনন্দ এবং মানবজাতির জন্য নতুন আশা।
ইস্টার সানডে উপলক্ষে বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও এবং মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া যৌথ বিবৃতিতে বিশ্বের সব খ্রিষ্টান ভাইবোন ও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ইস্টার সানডের চেতনা বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
দিনটি উপলক্ষে আজ সকালে মিরপুর ১০ নম্বরে ঢাকা আঞ্চলিক ব্যাপ্টিস্ট চার্চে প্রাতঃকালীন প্রার্থনা করেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা। এরপর প্রার্থনাসংগীত, বাইবেল পাঠ, আশীর্বচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় হচ্ছে বিশেষ প্রার্থনা। এ ছাড়া রাজধানীর কাকরাইল ও তেজগাঁওয়ের ক্যাথলিক চার্চ মিশনসহ সব গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ইস্টার সানডে কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি মিলন ও ভালোবাসার দিন। এই দিনে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সকলে একসঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেয় এবং নতুন করে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com