মূল্যস্ফীতি থেকে বাজেটে স্বস্তি মিলবে কি?
প্রকাশ : ০৩-০৬-২০২৫ ১২:৫৫

ছবি : সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের জনগণ টানা দুই বছর ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দিতে গিয়ে চরম অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর ক্রয়ক্ষমতা নাটকীয়ভাবে কমে যাওয়ায় তাদের দৈনন্দিন জীবন যাপন হয়ে উঠেছে কষ্টকর।
এই প্রেক্ষাপটে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে বাজেট প্রস্তাব করেছে, সেখানে নিম্ন আয়ের মানুষের কথা কিছুটা ভাবা হয়েছে- তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবে তার ধারেকাছে নেই। ২০২৪ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা ১০ মাস মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি ছিল। এখন তা নয় শতাংশের ঘরে নেমেছে। গত এপ্রিলে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল নয় দশমিক ৭৪ শতাংশ। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা নতুন বাজেটে সাড়ে ছয় শতাংশ মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। অন্যদিকে দেশে এখনো উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে, যা নয় থেকে ১০ শতাংশে রয়েছে। তবে নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতির লাগাম ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশের মধ্যে টেনে ধরা হবে।
তিনি বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার নেয়, তখন বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে মানুষকে স্বস্তি দেওয়া। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছি। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে নয় দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
আশার কথা হলো, এবারের রমজান মাসে নিত্যপণ্যের বাজার স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে স্থিতিশীল ছিল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এই জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি আট শতাংশের কোঠায় নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।
এদিকে নতুন অর্থবছরের বাজেটে খাদ্য ভর্তুকি প্রায় ২০ শতাংশ বাড়িয়ে নয় হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা ও বরাদ্দও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ দশমিক নয় শতাংশ বাড়িয়ে ৯১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৫৫ লাখ নিম্ন আয়ের পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে চলতি অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিল ৫০ লাখ। এই পরিবারগুলো প্রতি মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি পর্যন্ত চাল পাবে এবং এই সহায়তা ছয় মাস পর্যন্ত চলবে। চলতি অর্থবছরে এটি ছিল পাঁচ মাস।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট অফিস ও দারিদ্র্য বিষয়ক শাখার সাবেক পরিচালক সেলিম জাহান মনে করেন, এই উদ্যোগগুলো প্রশংসনীয় হলেও যথেষ্ট নয়। তার মতে, সরকার মূলত একটি অনুমাননির্ভর পরিকল্পনার ওপর বাজেট সাজিয়েছে, যেখানে মূল্যস্ফীতিকে সাড়ে ছয় শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেলিম জাহান বলেন, সরকারের পুরো বাজেট পরিকল্পনাই দাঁড়িয়ে আছে এই পূর্বধারণার ওপর যে তারা মূল্যস্ফীতি সাড়ে ছয় শতাংশে নামিয়ে আনতে পারবে। আমার মনে হয় না এটি বাস্তবসম্মত লক্ষ্য।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত দেশের মূল্যস্ফীতি নয় শতাংশের নিচে নামেনি। গত ৪০ বছরে কখনো এত দীর্ঘ সময় ধরে এত উচ্চ হারে মূল্যস্ফীতি বিরাজ করেনি।
বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালে দেশের দারিদ্র্যের হার বেড়ে ২২ দশমিক নয় শতাংশে পৌঁছাতে পারে। ২০২২ সালে এই হার ছিল ১৮ দশমিক সাত শতাংশ। একই সঙ্গে চরম দারিদ্র্যের হার ২০২২ সালের সাত দশমিক সাত শতাংশ থেকে বেড়ে নয় দশমিক তিন শতাংশ হতে পারে; যার পেছনে প্রধান কারণ হিসাবে মূল্যস্ফীতিকে দায়ী করা হয়েছে। এই হিসাবে, চলতি বছরেই দেশে আরো প্রায় ৩০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে পড়তে পারে।
সেলিম জাহান বলেন, মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপগুলো অপর্যাপ্ত, অস্থায়ী এবং মোটেই সমন্বিত নয়। এসব পদক্ষেপের বেশিরভাগই চাহিদা-পৃষ্ঠভিত্তিক। আর প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যাগুলো উপেক্ষা করে এগুলো কেবল নীতিগত পর্যায়ে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।
তার মতে, পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সরবরাহ ব্যবস্থার বাধা দূর না করলে মূল্যস্ফীতির চাপ প্রশমিত হবে না। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যে মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে, তা উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগে স্থবিরতা সৃষ্টি করছে। বিনিয়োগই আবার উৎপাদনের চালিকাশক্তি। আর বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অব্যবস্থাপনার কারণে।
বাজারমুখী বিনিময় হার কমিয়ে দিলে টাকার মান পড়ে যায়, যার ফলে আমদানিকৃত পণ্যের দাম বাড়ে এবং মূল্যস্ফীতির চাপ আরো তীব্র হয়। অর্থাৎ মুদ্রানীতির সঙ্গে বিনিময় হারের ব্যবস্থাপনাও সুসমন্বিত না হলে পরিস্থিতির উন্নয়ন অসম্ভব।
সেলিম জাহান প্রশ্ন তোলেন, বিশ্ববাজারে বহু পণ্যের দাম কমে গেলেও দেশের বাজারে তা কমছে না কেন? আর যদি শ্রীলঙ্কা মাত্র দুই বছরে মূল্যস্ফীতি ৭০ শতাংশ থেকে এক শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে পারে, তাহলে বাংলাদেশ কেন পারছে না? তার মতে, খাদ্য ভর্তুকি হচ্ছে এক ধরনের সহানুভূতিভিত্তিক দান, যা তাৎক্ষণিক স্বস্তি দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নয়।
সাবেক ইউএনডিপির এই কর্মকর্তা বলেন, স্বল্প ও মধ্যমেয়াদে মানুষের জন্য টেকসই স্বস্তি নিশ্চিত করতে চাইলে ভর্তুকির পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে সরকারকে।
এই প্রেক্ষাপটে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে বাজেট প্রস্তাব করেছে, সেখানে নিম্ন আয়ের মানুষের কথা কিছুটা ভাবা হয়েছে- তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবে তার ধারেকাছে নেই। ২০২৪ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা ১০ মাস মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি ছিল। এখন তা নয় শতাংশের ঘরে নেমেছে। গত এপ্রিলে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল নয় দশমিক ৭৪ শতাংশ। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা নতুন বাজেটে সাড়ে ছয় শতাংশ মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। অন্যদিকে দেশে এখনো উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে, যা নয় থেকে ১০ শতাংশে রয়েছে। তবে নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতির লাগাম ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশের মধ্যে টেনে ধরা হবে।
তিনি বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার নেয়, তখন বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে মানুষকে স্বস্তি দেওয়া। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছি। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে নয় দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
আশার কথা হলো, এবারের রমজান মাসে নিত্যপণ্যের বাজার স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে স্থিতিশীল ছিল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এই জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি আট শতাংশের কোঠায় নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।
এদিকে নতুন অর্থবছরের বাজেটে খাদ্য ভর্তুকি প্রায় ২০ শতাংশ বাড়িয়ে নয় হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা ও বরাদ্দও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ দশমিক নয় শতাংশ বাড়িয়ে ৯১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৫৫ লাখ নিম্ন আয়ের পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে চলতি অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিল ৫০ লাখ। এই পরিবারগুলো প্রতি মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি পর্যন্ত চাল পাবে এবং এই সহায়তা ছয় মাস পর্যন্ত চলবে। চলতি অর্থবছরে এটি ছিল পাঁচ মাস।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট অফিস ও দারিদ্র্য বিষয়ক শাখার সাবেক পরিচালক সেলিম জাহান মনে করেন, এই উদ্যোগগুলো প্রশংসনীয় হলেও যথেষ্ট নয়। তার মতে, সরকার মূলত একটি অনুমাননির্ভর পরিকল্পনার ওপর বাজেট সাজিয়েছে, যেখানে মূল্যস্ফীতিকে সাড়ে ছয় শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেলিম জাহান বলেন, সরকারের পুরো বাজেট পরিকল্পনাই দাঁড়িয়ে আছে এই পূর্বধারণার ওপর যে তারা মূল্যস্ফীতি সাড়ে ছয় শতাংশে নামিয়ে আনতে পারবে। আমার মনে হয় না এটি বাস্তবসম্মত লক্ষ্য।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত দেশের মূল্যস্ফীতি নয় শতাংশের নিচে নামেনি। গত ৪০ বছরে কখনো এত দীর্ঘ সময় ধরে এত উচ্চ হারে মূল্যস্ফীতি বিরাজ করেনি।
বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালে দেশের দারিদ্র্যের হার বেড়ে ২২ দশমিক নয় শতাংশে পৌঁছাতে পারে। ২০২২ সালে এই হার ছিল ১৮ দশমিক সাত শতাংশ। একই সঙ্গে চরম দারিদ্র্যের হার ২০২২ সালের সাত দশমিক সাত শতাংশ থেকে বেড়ে নয় দশমিক তিন শতাংশ হতে পারে; যার পেছনে প্রধান কারণ হিসাবে মূল্যস্ফীতিকে দায়ী করা হয়েছে। এই হিসাবে, চলতি বছরেই দেশে আরো প্রায় ৩০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে পড়তে পারে।
সেলিম জাহান বলেন, মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপগুলো অপর্যাপ্ত, অস্থায়ী এবং মোটেই সমন্বিত নয়। এসব পদক্ষেপের বেশিরভাগই চাহিদা-পৃষ্ঠভিত্তিক। আর প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যাগুলো উপেক্ষা করে এগুলো কেবল নীতিগত পর্যায়ে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।
তার মতে, পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সরবরাহ ব্যবস্থার বাধা দূর না করলে মূল্যস্ফীতির চাপ প্রশমিত হবে না। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যে মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে, তা উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগে স্থবিরতা সৃষ্টি করছে। বিনিয়োগই আবার উৎপাদনের চালিকাশক্তি। আর বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অব্যবস্থাপনার কারণে।
বাজারমুখী বিনিময় হার কমিয়ে দিলে টাকার মান পড়ে যায়, যার ফলে আমদানিকৃত পণ্যের দাম বাড়ে এবং মূল্যস্ফীতির চাপ আরো তীব্র হয়। অর্থাৎ মুদ্রানীতির সঙ্গে বিনিময় হারের ব্যবস্থাপনাও সুসমন্বিত না হলে পরিস্থিতির উন্নয়ন অসম্ভব।
সেলিম জাহান প্রশ্ন তোলেন, বিশ্ববাজারে বহু পণ্যের দাম কমে গেলেও দেশের বাজারে তা কমছে না কেন? আর যদি শ্রীলঙ্কা মাত্র দুই বছরে মূল্যস্ফীতি ৭০ শতাংশ থেকে এক শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে পারে, তাহলে বাংলাদেশ কেন পারছে না? তার মতে, খাদ্য ভর্তুকি হচ্ছে এক ধরনের সহানুভূতিভিত্তিক দান, যা তাৎক্ষণিক স্বস্তি দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নয়।
সাবেক ইউএনডিপির এই কর্মকর্তা বলেন, স্বল্প ও মধ্যমেয়াদে মানুষের জন্য টেকসই স্বস্তি নিশ্চিত করতে চাইলে ভর্তুকির পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে সরকারকে।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com