শাস্তির হুমকি সত্বেও ‘মার্চ টু এনবিআর’ শুরু
প্রকাশ : ২৮-০৬-২০২৫ ১৬:০২

ছবি : সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণ ও সব পক্ষের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে রাজস্ব খাতের সংস্কার দাবিতে ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি শুরু করেছেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।
শনিবার (২৮ জুন) সকাল থেকে এনবিআরের ঢাকা কার্যালয়ের কর্মকর্তাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কর্মকর্তারা রাজধানীর এনবিআর ভবনের সামনে সমবেত হয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে এনবিআরের মূল ফটক বন্ধ করে দিয়ে ভেতরে অবস্থান নিয়েছে বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। এনবিআর ভবনের আশপাশে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, এনবিআর চেয়ারম্যান সমস্যার সমাধান না করে মিথ্যাচার করছেন। এ পরিস্থিতিতে আজ থেকে সারা দেশের শুল্ক কর কার্যালয়েও শুরু হয়েছে লাগাতার শাটডাউন কর্মসূচি।
এদিকে শুক্রবার (২৭ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংস্কার নিয়ে এনবিআরের চলমান অচলাবস্থা নিরসনে অর্থ মন্ত্রণালয় সভা করেছে। এতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহারের নির্দেশনা, কর্মকর্তাদের বদলি আদেশ পুনর্বিবেচনা ও আগামী মঙ্গলবার তিন পক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে— তিনটি সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভাটি হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। সভায় সরকারের পক্ষ থেকে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও আমদানি-রপ্তানিসহ বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ঘোষিত কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি প্রত্যাহার করে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিজ নিজ দপ্তরে অবস্থান করে কাজে মনোনিবেশ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্দেশনা না মেনে মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি পালন করছেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে সারা দেশের শুল্ক-কর কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঢাকামুখী ‘মার্চ টু এনবিআর’ শীর্ষক কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা।
উল্লেখ্য, এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামের দুটি বিভাগ করে গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার।
গত ১২ এপ্রিল রাতে জারি করা এক অধ্যাদেশে এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি আলাদা বিভাগ—‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’—গঠনের ঘোষণা দেয় সরকার। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন কর্মকর্তারা।
পরবর্তীতে ১২ মে অর্থ মন্ত্রণালয় ওই অধ্যাদেশ অকার্যকর ঘোষণা করলে কর্মীরা কাজে ফেরেন। তবে ২৯ মে’র মধ্যে এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানকে অপসারণের দাবি জানানো হয়। নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলে তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা। এরপর গত ২২ জুন পাঁচ কর্মকর্তাকে বদলির ঘটনায় আন্দোলন আবার তীব্র হয়। আন্দোলনরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। শুক্রবার এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত, অফিস ত্যাগ বা দেরিতে উপস্থিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com