weather ২৮.৯৯ o সে. আদ্রতা ৮৪% , শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাঁটতে হাঁটতে এভারেস্টের চূড়ায় শাকিল

প্রকাশ : ২০-০৫-২০২৫ ১১:৫৬

ছবি : সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক
সমুদ্র শহর কক্সবাজারের ইনানি সৈকত থেকে যাত্রা শুরু করে মাত্র ৮৪ দিনের মধ্যে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন গাজীপুরের তরুণ পর্বতারোহী ইকরামুল হাসান শাকিল। ‘সি টু সামিট’ নামের এ অভিযানে শাকিল হেঁটে প্রায় এক হাজার  ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছেছেন হিমালয়ের চূড়ায়।

নেপাল সময় সোমবার (১৯ মে) সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে শাকিল আট হাজার ৮৪৯ মিটার উচ্চতার এভারেস্টের চূড়ায় পা রাখেন বলে নিশ্চিত করেছে তার অভিযানের নেপালি ট্রাভেল এজেন্সি ‘এইটকে এক্সপেডিশনস’।

এভারেস্ট জয়ী সপ্তম বাংলাদেশি হিসেবে নাম লেখালেও, শাকিলের যাত্রা ছিল ব্যতিক্রমী। কারণ এর আগে কেউ কক্সবাজার থেকে হেঁটে এভারেস্টের পথে রওনা হননি।

বিশ্বজুড়ে ‘সি টু সামিট’ অভিযান অতীতে মাত্র একজন পর্বতারোহী সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন— অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যাকার্টনি-স্নেপ, যিনি ১৯৯০ সালে ভারতের গঙ্গাসাগর থেকে এভারেস্ট পর্যন্ত এক হাজার ২০০ কিলোমিটার হেঁটে উঠেছিলেন ৯৬ দিনে। তবে শাকিল তুলনামূলক দীর্ঘ পথ ও কম সময়ে অভিযান শেষ করে আরো বড় কীর্তি গড়লেন।

শাকিল গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের ইনানী সৈকত থেকে হাঁটা শুরু করেন। এরপর ১২ দিনে ঢাকা, সেখান থেকে গাজীপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ হয়ে ২৮ মার্চ পঞ্চগড় পৌঁছান। বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং হয়ে ৩১ মার্চ নেপালে প্রবেশ করেন তিনি।

পথে চলার পাশাপাশি পর্বতারোহণের প্রস্তুতিও চালিয়ে যান শাকিল। এর আগে তিনি ভারতের নেহরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিং থেকে পর্বতারোহণের প্রাথমিক ও উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।

এভারেস্টের আগে শাকিল জয় করেছেন নেপালের মাউন্ট কায়াজো রি (ছয় হাজার ১৮৬ মিটার), হিমলুং (সাত হাজার ১২৭ মিটার) এবং দোলমা খাং (ছয় হাজার ৩৩২ মিটার) সহ বেশ কয়েকটি উচ্চ শৃঙ্গ।

২০২৩ সালের জুলাইয়ে শাকিল নেপালের গ্রেট হিমালয় ট্রেইল পাড়ি দেন। ১০৯ দিনে এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার হেঁটে এই ট্রেইলের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পৌঁছে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান।

শাকিলের এ সাফল্যে আনন্দে উদ্বেল তার পরিবার, শিক্ষক ও বন্ধু-স্বজনেরা। গাজীপুরের পিয়ার আলী কলেজের অধ্যক্ষ একে এম আবুল খায়ের বলেন, পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে শাকিলের হাতে লাল-সবুজের পতাকা দেখে গর্বে বুক ভরে গেছে।

শাকিলের মা শিরিনা আক্তার আবেগময় কণ্ঠে বলেন, প্রতিদিন দুশ্চিন্তায় থাকি, ঘুম হয় না। ছেলের সঙ্গে শেষ কথা হয় ১৬ তারিখ রাতে। বলেছিল, ‘মা, আমি পাহাড়ের দিকে যাচ্ছি, চিন্তা কইরো না।’ এখন আর যোগাযোগ হচ্ছে না। তবে কেউ একজন জানাল, শাকিল চূড়ায় উঠেছে।

শাকিলের ‘সি টু সামিট’ অভিযানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিল প্রাণ। সহযোগী হিসেবে ছিল জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), মিস্টার নুডলস, মাকলু-ই-ট্রেডার্স (নেপাল) এবং সিস্টেমা টুথব্রাশ।

সফল সামিটের পর শাকিল বর্তমানে এভারেস্টের ক্যাম্প-৪-এ অবস্থান করছেন। নেটওয়ার্ক সংকটের কারণে তার দলের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। তবে জানানো হয়েছে, তিনি সুস্থ আছেন এবং নিচে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

পিপলসনিউজ/আরইউ

-- বিজ্ঞাপন --


CONTACT

ads@peoplenewsbd.com

চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা বন্ধ, রোগী ও স্বজনদের দুর্ভোগ চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা বন্ধ, রোগী ও স্বজনদের দুর্ভোগ জীবিত ব্যক্তিকে ‘শহীদ’ দেখিয়ে হত্যা মামলা জীবিত ব্যক্তিকে ‘শহীদ’ দেখিয়ে হত্যা মামলা বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস নাইজেরিয়ায় ভারি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ১১৭ নাইজেরিয়ায় ভারি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ১১৭ বিসিবিতে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের পথচলা কতটা মসৃণ হবে? বিসিবিতে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের পথচলা কতটা মসৃণ হবে?