২৬.৯৯ o সে. আদ্রতা ১০০% , বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আরো ৭ দেশের পণ্যে নতুন করে শুল্ক আরোপ ডোনাল্ড ট্রাম্পের
প্রকাশ : ১০-০৭-২০২৫ ১১:২৫
ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আরো সাতটি দেশের জন্য নতুন শুল্কহার নির্ধারণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (৯ জুলাই) ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিপাইন, ব্রুনেই, মলডোভা, আলজেরিয়া, ইরাক, লিবিয়া ও শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে এই চিঠি পাঠিয়েছেন। গত সোমবার তিনি ১৪টি দেশকে চিঠি দেন। অর্থাৎ এই সপ্তাহের মধ্যে মোট ২১টি দেশের জন্য নতুন পাল্টা শুল্কহার নির্ধারণ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার নিজের মালিকানধীন সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এই ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, বুধবার সকালে ‘কমপক্ষে সাতটি দেশের’ তালিকা প্রকাশ এবং বিকালের দিকে আরো কয়েকটি দেশের নাম জানানো হবে। তবে শেষমেশ তিনি সাতটি দেশের মধ্যেই সীমিত থাকলেন।
সিএনবিসির সংবাদে বলা হয়েছে, ফিলিপাইনের পণ্যে ২০ শতাংশ (আগে ১৭ শতাংশ ছিল), ব্রুনেইয়ের পণ্যে ২৫ শতাংশ (আগে ২৪ শতাংশ), মলডোভার পণ্যে ২৫ শতাংশ (আগে ৩১ শতাংশ), আলজেরিয়ার পণ্যে ৩০ শতাংশ (আগেও ৩০ শতাংশ), ইরাকের পণ্যে ৩০ শতাংশ (আগে ৩৯ শতাংশ), লিবিয়ার পণ্যে ৩০ শতাংশ (আগে ৩১ শতাংশ) ও শ্রীলঙ্কার পণ্যে ৩০ শতাংশ (আগে ৪৪ শতাংশ) শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত যে ২১টি দেশের নতুন করে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাদের শুল্ক হার ২০ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব চিঠিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ‘সম্ভবত’ এই নতুন শুল্কহার পর্যালোচনা করতে পারে এবং তা নির্ভর করবে সেই দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ওপর।
সব চিঠিতেই বলা হয়েছে, এই শুল্কহার প্রয়োজনের তুলনায় কম, অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যঘাটতি দূর করতে যে পরিমাণ শুল্ক প্রয়োজন, তার চেয়ে কম। ট্রাম্প প্রায়ই দাবি করেন, বাণিজ্যঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার শামিল, যদিও অনেক বিশেষজ্ঞ এই ব্যাখ্যার সঙ্গে একমত নন।
চিঠি পাওয়া অনেক দেশই যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক ছোট। সব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু না কিছু বাণিজ্যঘাটতি আছে। অনেক ক্ষেত্রেই সেই ঘাটতির পরিমাণ খুবই সামান্য। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে মলডোভার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যঘাটতি ছিল মাত্র ৮৫ মিলিয়ন বা আট কোটি ৫০ লাখ ডলার।
ট্রাম্প যেসব নতুন শুল্কহার আরোপ করেছেন, তার বেশির ভাগই ২ এপ্রিল ঘোষিত ‘স্বাধীনতা দিবসের’ শুল্কের কাছাকাছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্র এবার শুল্কহার কমানো হয়েছে।
ওই ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি গুরুতর আকার ধথারণ করলে ট্রাম্প হঠাৎ করেই সেই শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন। সেই অবকাশের মেয়াদ বুধবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে শুল্ক কার্যকর করার সময়সীমা ১ আগস্ট পর্যন্ত পিছিয়ে দেন।
মঙ্গলবার একটি পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘১ আগস্টের সময় সীমায় পরিবর্তন আসবে না।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আর কোনো সময় দেওয়া হবে না।’
সোমবার জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, কাজাখস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, লাওস, মিয়ানমার, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, তিউনিসিয়া, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, সার্বিয়া, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের পণ্যে নতুন পাল্টা শুল্ক আরোপ করে চিঠি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com
