ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু, প্রথম ধাপে মুক্তি পেলেন ৭ জন
প্রকাশ : ১৩-১০-২০২৫ ১২:০৪
ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজায় আটক অবশিষ্ট ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে শুরু করেছে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। স্থানীয় সময় আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ৮টার পর জিম্মি মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।
গাজায় প্রধম ধাপে সাতজন জিম্মিকে রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে ইসরায়েল সরকার কিংবা দেশটির সামরিক বাহিনী এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘শান্তি পরিকল্পনা’ মেনে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। ট্রাম্পের ওই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ অনুযায়ী গত শুক্রবার গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এর চতুর্থ দিনে আজ সোমবার মিসরের অবকাযাপনকেন্দ্র শারম আল শেখে ‘শান্তি’ সম্মেলনে বসছেন বিশ্বনেতারা। সেখানে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে ইতোমধ্যে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, তাতে ট্রাম্প সই করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মিসরে সম্মেলন শুরুর আগেই জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। আর ঠিক এ সময়টায় ইসরায়েলে যাচ্ছেন ট্রাম্প। সেখান থেকে তার মিসরে যাওয়ার কথা। ইসরায়েল সফরে দেশটির পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্পের।
ট্রাম্পের পরিকল্পনার ভিত্তিতে গাজায় যে প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তার মূল শর্তগুলো হলো— গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলা বন্ধ, উপত্যকাটির নির্দিষ্ট এলাকা পর্যন্ত সেনাদের সরিয়ে আনা এবং জিম্মি ও বন্দিবিনিময়। রবিবার দিনভর বন্দীদের মুক্তি বিষয়ে তৎপরতা চালিয়েছে হামাস ও ইসরায়েল।
ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ বলেছে, এর আগে জিম্মিরা যে প্রক্রিয়ায় মুক্তি পেয়েছিলেন এবারেও তাই হবে। জিম্মিদের আইডিএফের হাতে হস্তান্তর করবে রেড ক্রস। পরে তাদের ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক ঘাঁটিতে নেওয়া হবে।
জেরুজালেম থেকে বিবিসির সংবাদদাতা টম বেনেট জানাচ্ছেন, হামাসের হাত থেকে জিম্মিদের গ্রহণের জন্য গাজার উত্তরাঞ্চলের পথে রয়েছে রেড ক্রস। সেখানেই তাদের হেফাজতে জিম্মিদের দেওয়া হবে বলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।
এরপর রেডক্রস তাদের গাজার একাংশে নিয়ে যাবে যে এলাকাটি ইসরায়েলি আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
জিম্মিদের নেওয়া হবে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে রেইম সামরিক ঘাঁটিতে। সেখানে মুক্তি পাওয়া জিম্মিরা তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হবেন। সেখান থেকে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হবে। এজন্য ইসরায়েল বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। পরে সেদিন থেকেই গাজায় টানা দুই বছর ধরে নৃশংসতা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ৭ অক্টোবর হামাসের সদস্যরা হামলা চালিয়ে ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান। তাদের ৪৮ জন এখনো উপত্যকাটিতে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত। বাকি ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার পর ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী এক হাজার ৯৫০ জন ফিলিস্তিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। বন্দীদের মধ্যে ২২ শিশুও রয়েছে।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com