গোয়ালন্দে মাজারে হামলার ঘটনায় মসজিদের ইমামসহ গ্রেপ্তার ১৮
প্রকাশ : ০৯-০৯-২০২৫ ১১:১৪

ছবি : সংগৃহীত
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, মাজারে হামলা ও ভাঙচুর, সম্পদ লুটপাট, কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন এবং পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় সবমিলিয়ে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম লতিফ, যিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। মঙ্গলবার ভোরে তাকে মানিকগঞ্জের চর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরো জানানো হয়েছে, মাজার ভাঙচুর ও মারামারিতে আহত, নিহত, সম্পদ লুটপাট, কবর থেকে লাশ উত্তোলন ও পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় নিহত রাসেল মোল্লার বাবা মো. আজাদ মোল্লা (৫৫) বাদী হয়ে সোমবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গত ২৩ আগস্ট মারা যান নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগল। এরপর তার ভক্তরা দরবারের ভেতরে তাকে কবর দেন এবং কবরের উপরের ১০-১২ উঁচু একটি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ করা স্থাপনাটি মক্কায় অবস্থিত কাবা শরীফের মতো দেখতে এমন অভিযোগ তুলে আপত্তি জানায় স্থানীয়দের একাংশ।
এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরে ৫ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ উপজেলায় শত শত মানুষ একটি 'দরবার শরিফে' হামলা চালায় এবং নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নুরাল পাগলার অনুসারী ও 'ঈমান-আকিদা রক্ষা কমিটি'র ব্যানারে স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও সাংবাদিকসহ ২২ জন আহত হন।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীরা ইউএনও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসির গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় পাথর নিক্ষেপ ও মারধরে পাঁচ পুলিশ সদস্য ও দুই প্রশাসনিক কর্মকর্তা আহত হন।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com