সিএনএনের প্রতিবেদন
জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে আয়াতুল্লাহ খামেনি
প্রকাশ : ২৩-০৬-২০২৫ ১৬:০৩

ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় গত শনিবার রাতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরইমধ্যে সোমবার (২৩ জুন) মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন বিশ্ব দেখার অপেক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে ইরান পাল্টা কী পদক্ষেপ নেয়। এনিয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির নেতৃত্বের সামনে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। খবর সিএনএনের।
কার্নেগি এনডাউমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল পিসের করিম সাদ্দাদপুর সিএনএনকে বলেন, খামেনি সম্ভবত একজন স্বৈরশাসক হিসেবে তার জীবনের সবচেয়ে ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে আছেন।
করিম সাদ্দাদপুর আরো বলেছেন, তিনি (খামেনি) বাঙ্কারে আছেন এবং তার বয়স ৮৬ বছর। তার বেশিরভাগ শীর্ষ সামরিক কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে এবং আকাশসীমা তার নিয়ন্ত্রণ নেই, ইসরায়েল নিয়ন্ত্রণ করছে।
এই বিশ্লেষক আরো বলেন, এই যুদ্ধ থেকে বের হয়ে আসার উপায় নেই এবং তিনি এই যুদ্ধে জয়ী হতে পারবেন না।
এদিকে গত সপ্তাহে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে খামেনি বলেন, ইরান আত্মসমর্পণ করবে না। তিনি যেকোনো মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে খামেনিকে হত্যায় ইসরায়েলি পরিকল্পনার কথা উড়িয়ে দেন ট্রাম্প। তবে তিনি বলেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি সহজ টার্গেট।
সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রবিবার ট্রাম্প ইরানের সরকারব্যবস্থা পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন শব্দটা ব্যবহার করা রাজনৈতিকভাবে সঠিক না। কিন্তু যদি বর্তমান ইরানি সরকার 'মেইক ইরান গ্রেট এগেইন' (ইরানকে আবার মহান করে তোলা) করতে না পারে, তাহলে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন হবে না কেন?
এখন প্রশ্ন উঠেছে ইরানে কী হস্তক্ষেপের মাধ্যমে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করা হবে। সিএনএন বলছে, এমন হলে ইরান বিভক্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে এবং এতে করে অঞ্চলজুড়ে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর দেওয়া প্রথম বিবৃতিতে খামেনি বলেন, ‘জায়নবাদী শত্রু বড় ভুল করেছে, বড় অপরাধ করেছে; এর শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে এবং তারা সেই শাস্তি পাচ্ছে; তারা এখনই শাস্তি পাচ্ছে।’
গত ১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। পাল্টা হামলা শুরু করে ইরানও। তখন থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে সরাসরি যোগাযোগ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন খামেনি।
খামেনির আশঙ্কা, ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্র তাকে হত্যা করতে পারে। তেমনটি ঘটলে দ্রুত সর্বোচ্চ নেতৃত্ব বাছাইয়ের নির্দেশনাও দিয়ে রেখেছেন তিনি। ইরানের আইনসভা, বিচারব্যবস্থা, নির্বাহী বিভাগ এবং সামরিক বাহিনীর সর্বময় ক্ষমতা খামেনির হাতে।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com