ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ইশরাকের সমর্থকদের
প্রকাশ : ২১-০৫-২০২৫ ১৩:৩৮

ছবি : সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে শপথ গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হয়েছে বুধবার (২১ মে) সকাল ১০টায়। তবে এই সময়সীমার মধ্যে কোনো সাড়া না মেলায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে নেমেছেন ইশরাকের সমর্থক ও বিএনপির নেতাকর্মীরা।
ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে টানা সপ্তম দিনের মতো নগর ভবনের ভেতরে ও বাইরে চলছে বিক্ষোভ। সকাল থেকেই মৎস্য ভবন, কাকরাইল ও সচিবালয় এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে অবস্থান নেন। এর আগের দিন দেওয়া হুঁশিয়ারি অনুযায়ী, ‘ঢাকা অচল’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় স্লোগান ও প্রতিবাদ মিছিল করতে দেখা যায় তাদের।
এদিকে ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর দাবিতে দায়ের করা রিটের ওপর শুনানি শেষে আজ দুপুরে হাইকোর্ট আদেশ দেওয়ার কথা রয়েছে। গত ১৪ মে মো. মামুনুর রশিদ নামে এক ব্যক্তির পক্ষে আইনজীবী কাজী আকবর আলী হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।
রিটে তিনটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে- ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে দেওয়া ট্রাইব্যুনালের রায় স্থগিত রাখা, তাকে মেয়র পদে শপথ না পড়াতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া এবং নির্বাচন সংক্রান্ত রায় প্রদানকারী বিচারকের বিরুদ্ধে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন ওই নির্বাচনে পরাজিত হন বলে ফলাফল প্রকাশিত হয়। তবে দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার পর গত ২৭ মার্চ, ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল শেখ তাপসের বিজয় বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেন।
রায়ের কপি পাওয়ার পর ২২ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশের আগে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চাইলেও, পরামর্শ না আসার আগেই ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে ইসি; যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
বিএনপি ও ইশরাকপন্থী নেতাকর্মীদের দাবি, আদালতের রায় ও গেজেট প্রকাশের পর শপথ গ্রহণে আর কোনো আইনি বাধা থাকার কথা নয়। কিন্তু সরকার শপথ অনুষ্ঠান আয়োজন না করে রাজনৈতিকভাবে বাধা দিচ্ছে। অন্যদিকে একটি পক্ষ বলছে, উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছাড়া এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে শপথ করানো সংবিধান পরিপন্থী হতে পারে।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com