দেড় কোটি টাকা চুরি করে নিজ ঘরের জন্য আসবাব কিনলেন কেয়ারটেকার
প্রকাশ : ১৫-০৫-২০২৫ ১৭:৪৪

কেয়ারটেকার উজ্জ্বল, ছবি : সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর রামপুরার একটি বাসা থেকে দেড় কোটি টাকা, ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার ও সাত হাজার মার্কিন ডলার চুরির ঘটনায় বাসার কেয়ারটেকার উজ্জ্বলকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। চুরির টাকা দিয়ে ওই কেয়ারটেকার আলমারি ও ফ্রিজ কিনেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব জানান।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, হাতিরঝিল থানাধীন পশ্চিম রামপুরার মহানগর প্রজেক্টে কক্সবাজারের হোটেল সি প্যালেসের মালিক এ এস এম আলাউদ্দিন ভূইয়ার বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে।
আলাউদ্দিন ভূইয়া গত ১০ মে হাতিরঝিল থানায় অভিযোগ করেন- তার বাসার কেয়ারটেকার উজ্জ্বল দেড় কোটি টাকা, ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার (আনুমানিক মূল্য ৬০ লাখ টাকা) এবং সাত হাজার মার্কিন ডলার চুরি করে পালিয়ে গেছেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে উজ্জ্বল, তার স্ত্রী ও মায়ের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আলাউদ্দিন ভূইয়া গত ৩ মে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজারে তার হোটেল তদারকির জন্য যান। এর আগে ২ মে তিনি তার বাসায় কেয়ারটেকার উজ্জ্বলকে গ্রামের বাড়িতে ছুটিতে যাওয়ার অনুমতি দেন। আলাউদ্দিন ভূইয়া ৬ মে ঢাকায় ফিরে আসেন এবং ৮ মে রাতে তার মেয়ে ব্যারিস্টার ফারজানা আক্তারের সঙ্গে বাসার স্টিলের আলমারি খুলে দেখেন তা খোলা এবং ভেতরে রাখা স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা নেই।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তারা দেখতে পান, ২ মে সন্ধ্যায় উজ্জ্বল সিসি ক্যামেরাগুলো উপরের দিকে ঘুরিয়ে দেন এবং আলাউদ্দিন ভূইয়ার কক্ষে প্রবেশ করেন। পরদিন ৩ মে দুপুর সাড়ে ১২টায় উজ্জ্বল একটি ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যান।
ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন ভূইয়ার কক্সবাজারের হোটেলে ছয় বছর আগে বাবুর্চি হিসেবে কাজ করতেন উজ্জ্বল এবং ২০১৯ সাল থেকে ঢাকায় তার বাসায় কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আলাউদ্দিন ভূইয়ার স্ত্রীর মৃত্যুর পর উজ্জ্বল বাসার যাবতীয় কাজ করতেন এবং আলমারির লকারের পাসওয়ার্ড জানতেন।
মামলাটি তদন্তকালে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুত উজ্জ্বলের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর গাজীপুর সদর থানার মৌবাগ এলাকায় উজ্জ্বলের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার দেখানো মতে তার বাসার আলমারি থেকে ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে উজ্জ্বল স্বীকার করেন, চুরি করা টাকা দিয়ে তিনি একটি আলমারি ও ফ্রিজ কিনেছেন; যা পরে পুলিশ জব্দ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উজ্জ্বল আরো জানান, চুরি করা আরো ১৪ লাখ টাকা গাজীপুর সদর থানাধীন শিমুলতলী বাজারে তার ভগ্নিপতির বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছেন। পরে পুলিশ তার ভগ্নিপতির বাড়ির খাটের নিচ থেকে ১৪ লাখ টাকা উদ্ধার করে।
ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার উজ্জ্বলকে আদালতে হাজির করা হলে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন এবং চুরি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন। মামলার অপর দুই আসামি ও চুরি হওয়া অবশিষ্ট টাকা উদ্ধারে পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাজু বলেন, বর্তমান সরকার অপরাধ র্নিমূলে বদ্ধপরিকর। হাতিরঝিল থানা পুলিশ জনগণের শান্তি, শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব জানান।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, হাতিরঝিল থানাধীন পশ্চিম রামপুরার মহানগর প্রজেক্টে কক্সবাজারের হোটেল সি প্যালেসের মালিক এ এস এম আলাউদ্দিন ভূইয়ার বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে।
আলাউদ্দিন ভূইয়া গত ১০ মে হাতিরঝিল থানায় অভিযোগ করেন- তার বাসার কেয়ারটেকার উজ্জ্বল দেড় কোটি টাকা, ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার (আনুমানিক মূল্য ৬০ লাখ টাকা) এবং সাত হাজার মার্কিন ডলার চুরি করে পালিয়ে গেছেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে উজ্জ্বল, তার স্ত্রী ও মায়ের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আলাউদ্দিন ভূইয়া গত ৩ মে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজারে তার হোটেল তদারকির জন্য যান। এর আগে ২ মে তিনি তার বাসায় কেয়ারটেকার উজ্জ্বলকে গ্রামের বাড়িতে ছুটিতে যাওয়ার অনুমতি দেন। আলাউদ্দিন ভূইয়া ৬ মে ঢাকায় ফিরে আসেন এবং ৮ মে রাতে তার মেয়ে ব্যারিস্টার ফারজানা আক্তারের সঙ্গে বাসার স্টিলের আলমারি খুলে দেখেন তা খোলা এবং ভেতরে রাখা স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা নেই।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তারা দেখতে পান, ২ মে সন্ধ্যায় উজ্জ্বল সিসি ক্যামেরাগুলো উপরের দিকে ঘুরিয়ে দেন এবং আলাউদ্দিন ভূইয়ার কক্ষে প্রবেশ করেন। পরদিন ৩ মে দুপুর সাড়ে ১২টায় উজ্জ্বল একটি ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যান।
ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন ভূইয়ার কক্সবাজারের হোটেলে ছয় বছর আগে বাবুর্চি হিসেবে কাজ করতেন উজ্জ্বল এবং ২০১৯ সাল থেকে ঢাকায় তার বাসায় কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আলাউদ্দিন ভূইয়ার স্ত্রীর মৃত্যুর পর উজ্জ্বল বাসার যাবতীয় কাজ করতেন এবং আলমারির লকারের পাসওয়ার্ড জানতেন।
মামলাটি তদন্তকালে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুত উজ্জ্বলের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর গাজীপুর সদর থানার মৌবাগ এলাকায় উজ্জ্বলের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার দেখানো মতে তার বাসার আলমারি থেকে ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে উজ্জ্বল স্বীকার করেন, চুরি করা টাকা দিয়ে তিনি একটি আলমারি ও ফ্রিজ কিনেছেন; যা পরে পুলিশ জব্দ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উজ্জ্বল আরো জানান, চুরি করা আরো ১৪ লাখ টাকা গাজীপুর সদর থানাধীন শিমুলতলী বাজারে তার ভগ্নিপতির বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছেন। পরে পুলিশ তার ভগ্নিপতির বাড়ির খাটের নিচ থেকে ১৪ লাখ টাকা উদ্ধার করে।
ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার উজ্জ্বলকে আদালতে হাজির করা হলে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন এবং চুরি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন। মামলার অপর দুই আসামি ও চুরি হওয়া অবশিষ্ট টাকা উদ্ধারে পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাজু বলেন, বর্তমান সরকার অপরাধ র্নিমূলে বদ্ধপরিকর। হাতিরঝিল থানা পুলিশ জনগণের শান্তি, শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
পিপলসনিউজি/এসসি
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com