শত কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন : খন্দকার মোশাররফের নামে দুদকের মামলা
প্রকাশ : ০১-০৬-২০২৫ ১৮:৪৭

ফাইল ছবি
সিনিয়র রিপোর্টার
৩৫ কোটি টাকারও বেশি সম্পদ অর্জন এবং শত কোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার (১ জুন) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, আসামি খন্দকার মোশাররফ হোসেন দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩৫ কোটি ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭৭ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনপূর্বক নিজ দখলে রেখেছেন।
একইসঙ্গে ৭ কোটি ৭২ লাখ ১৮ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে গোপন করেছেন। তার নিজ নামে মোট ১৫টি ব্যাংক হিসাবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৬৩ কোটি ৭৭ লাখ ১১ হাজার ৮৭৫ টাকা ও ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭৬ মার্কিন ডলার জমা হয়।
এই সময়ে ৩৫ কোটি ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৯৬৭ টাকা ও ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪০ মার্কিন ডলার উত্তোলন করা হয়। সব মিলিয়ে মোট ৯৯ কোটি ২১ লাখ ১৮ হাজার ৮৪২ টাকা ও ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৮১৬ মার্কিন ডলারের অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন তিনি।
অপরাধলদ্ধ অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে গোপন করায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে বসবাস করছেন। তিনি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সাবেক স্বামী খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতুর বাবা।
হাসিনার নেতৃত্বাধীন ২০০৯-২০১৪ সরকারের মন্ত্রিসভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (এলজিআরডি) এবং ২০১৪-২০১৮ সরকারের মন্ত্রিসভায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন মোশাররফ।
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com