২৫.৯৯ o সে. আদ্রতা ৯৪% , শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে লিবিয়ায় পাঠাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশ : ১৭-০৫-২০২৫ ১০:৩৬
ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজা উপত্যকায় বসবাসরত প্রায় ২২ লাখ ফিলিস্তিনির মধ্যে অন্তত ১০ লাখকে যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ায় স্থায়ীভাবে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এই পরিকল্পনা নিয়ে ইসরায়েলকে নিয়মিত হালনাগাদ তথ্য জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিষয়টির সঙ্গে জড়িত অন্তত তিনটি সূত্র।
শনিবার (১৭ মে) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে পাঁচটি ভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষে ট্রাম্প প্রশাসন গাজার অন্তত ১০ লাখ বাসিন্দাকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় স্থানান্তরের একটি পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।
তবে এখনো লিবিয়া সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি। আলোচনা চলমান রয়েছে এবং এতে অর্থ সহায়তা, আবাসন সুবিধা এবং শিক্ষাবৃত্তির মতো বিভিন্ন প্রণোদনা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
তিনটি সূত্র এনবিসি নিউজকে জানায়, এই প্রস্তাবের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা কোটি কোটি ডলারের তহবিল ছাড়ের প্রতিশ্রুতি দিতে পারে। যদিও পরিকল্পনাটি এখনো বাস্তবায়নের পর্যায়ে পৌঁছায়নি, তবু বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং এ সম্পর্কিত আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
চলমান আলোচনা এবং পরিকল্পনার অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিতভাবে ইসরায়েলকে অবহিত করা হচ্ছে বলে জানায় সূত্রগুলো। তবে এই বিষয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এদিকে, কতজন ফিলিস্তিনি গাজা ছাড়তে আগ্রহী হবেন— সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
হামাসের এক জ্যেষ্ঠ নেতা বাসেম নাইম এনবিসি নিউজকে বলেন, এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা সম্পর্কে আমাদের কিছুই জানা নেই। এটি যদি সত্য হয়, তবে আমরা এর কঠোর নিন্দা জানাই। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিরা তাদের মাতৃভূমির প্রতি দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা শেষ পর্যন্ত তাদের ভূমি, পরিবার ও ভবিষ্যৎ রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাবে।
তিনি আরো যোগ করেন, ফিলিস্তিনিদের ভাগ্য নির্ধারণের অধিকার কেবল তাদেরই রয়েছে। বাইরের কেউ তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে না।
উল্লেখ্য, মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর ২০১১ সাল থেকে লিবিয়া রাজনৈতিকভাবে চরম অস্থিরতা এবং গৃহযুদ্ধের মধ্যে রয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী আব্দুল হামিদ দ্বেইবেহ এবং পূর্বাঞ্চলে সেনাপ্রধান খলিফা হাফতারের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। এরই মাঝে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর দেশটিতে মার্কিন নাগরিকদের ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com
