weather ২৫.৯৯ o সে. আদ্রতা ৬৫% , বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামের আলু যাচ্ছে বিদেশে, দাম নিয়ে অখুশি কৃষকরা

প্রকাশ : ১৯-০২-২০২৫ ১২:৩০

ছবি : সংগৃহীত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামে চাহিদা ও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে। মালয়েশিয়া ও নেপালে আলু রপ্তানিও হচ্ছে। কিন্তু দাম নিয়ে খুশি নন কৃষকরা। কেননা উৎপাদন খরচের অর্ধেক দামে বিক্রি করতে হচ্ছে আলু। সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে লোকসান আরো কমতে পারত বলে মনে করেন তারা।

কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে এ জেলায় সাত হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। সেখানে এ পর্যন্ত আট হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ করেছেন কৃষক। চাহিদার তুলনায় বেশি আলু চাষ করায় বাজারে দরপতন শুরু হয়েছে। খরচ উঠাতে না পেরে কৃষকের চোখে-মুখে চরম হতাশা।

বর্তমানে পাইকারি বাজারে ১০ থেকে ১২ টাকা কেজি দরে আলু কেনা-বেচা হচ্ছে। দামের এমন অবস্থা হওয়ায় অনেকে জমিতেই আলু ফেলে রেখেছেন। তবে হঠাৎ করে আলু রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা আশার আলো দেখলেও দাম না থাকায় কোনো উপকারেই আসছে না।

প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ করে ৩০ শতক জমিতে আলু চাষ করেছেন সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের চর সারডোব গ্রামের চাষি সফিকুল।

তিনি বলেন, এবার ফলন ভালো হয়েছে। তবে কেজি প্রতি আট থেকে ১০ টাকা দাম হওয়ায় জমিতে আলু ফেলে রেখেছিলাম। রপ্তানির খবর শুনে ১২ টাকা কেজি দরে পাইকারের কাছে আলু বিক্রি করলাম। এতে ২৫ হাজার টাকার মতো পাব। এরপরও ১৫ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে।

আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে আলুর আকার ভালো না হওয়ায় সব জমি থেকে আলু নিচ্ছেন না সরবরাহকারীরা। তারা বলছেন, রপ্তানির জন্য আলুর সাইজ ৮০ গ্রাম থেকে ৪০০ গ্রাম হতে হবে। আন্ডার সাইজ বা খারাপ আকৃতির আলু গ্রহণ করছেন না তারা। এতে সমস্যায় পড়ছেন চাষিরা।

প্রায় দুই কোটি টাকা খরচ করে ৯৫ একর জমিতে আলু চাষ করেছেন চর সারডোবের চাষি কাদের মিয়া। তিনি বলেন, বর্তমান বাজারমূল্য দেখে ভীষণ দুশ্চিন্তায় রয়েছি। সামনে দাম না বাড়লে মাঠে মারা যাব।

কাদের মিয়া বলেন, আলু চাষে এখন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। এক একর জমি ভাড়া নিতে খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা। এতে এক হাজার আলুবীজ কিনতে লাগে ৭০ হাজার টাকা। এ ছাড়া সার, সেচ, কীটনাশক ও লেবার খরচ যায় ৯০ হাজার টাকার মত। এতে মোট খরচ দাঁড়ায় দুই লাখ টাকা।

প্রতি একরে পাওয়া যায় ২০০ বস্তা আলু। প্রতিবস্তায় ৬০ কেজি হলে মোট আলু পাওয়া যায় ১২ হাজার কেজি। এতে দেখা যাচ্ছে প্রতি কেজিতে উৎপাদন খরচ দাঁড়াচ্ছে ১৬ দশমিক ৬৬ টাকা। সেই আলু ১০ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি হলে বড় লোকসানে পড়বেন চাষি।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার আলু রপ্তানিকারক সিরাজুল ইসলাম বলেন, জানুয়ারিতে মালয়েশিয়া ও নেপালের উদ্দেশ্যে কুড়িগ্রাম থেকে পাঁচটি ট্রাকে ৭৫ টন আলু চট্টগ্রাম বন্দরে গেছে। তবে চাহিদা বৃদ্ধি পেলে চাষিদের ক্ষতি কিছুটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চাষিদের জন্য বড় খবর হলো বিদেশে আলুর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সঠিক মূল্যে আলু বিক্রি করতে পারলে লাভবান হবেন চাষি।

পিপলসনিউজ/আরইউ

-- বিজ্ঞাপন --


CONTACT

ads@peoplenewsbd.com

পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান উত্তেজনা পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান উত্তেজনা পহেলা বৈশাখ নিরাপদ ও সুশৃঙ্খলভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে ডিএমপির নিরাপত্তা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত পহেলা বৈশাখ নিরাপদ ও সুশৃঙ্খলভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে ডিএমপির নিরাপত্তা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত মুজিববর্ষ ও ম্যুরাল নির্মাণে ব্যয় : শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু মুজিববর্ষ ও ম্যুরাল নির্মাণে ব্যয় : শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু দুদকে অভিযোগ জমা দিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত ও সারজিস দুদকে অভিযোগ জমা দিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত ও সারজিস বাংলাদেশ পুলিশের ২ থানার নাম পরিবর্তন বাংলাদেশ পুলিশের ২ থানার নাম পরিবর্তন