weather ২৭.৯৯ o সে. আদ্রতা ৮৯% , বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতল পিএসজি

প্রকাশ : ০১-০৬-২০২৫ ১০:৩৮

ছবি : সংগৃহীত

ক্রীড়া ডেস্ক
একসময় যেখানেই গিয়েছিল তারা, সঙ্গে ছিল হতাশার ছায়া। যে ক্লাব একাধিকবার তারকায় ভরপুর দল গড়েও ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্ব ছুঁতে পারেনি, সেই প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি) লিখল ইতিহাসের সবচেয়ে উজ্জ্বল অধ্যায়। 

মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শনিবার (৩১ মে) রাতে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে নিল ফরাসি ক্লাবটি। এই জয়ের মাধ্যমে পিএসজি অর্জন করল ঐতিহাসিক ট্রেবল— লিগ ওয়ান, কাপ দে ফ্রান্স এবং এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।

আর মঞ্চটা ছিল সেই পুরনো, ঐতিহাসিক মিউনিখ। যেখানে ১৯৯৩ সালে অলিম্পিক মার্শেই ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের স্বাদ পেয়েছিল, ঠিক তেমনই আরো একবার একটি ফরাসি ক্লাব— এবার পিএসজি গড়ে ফেলল ঐতিহাসিক পুনরাবৃত্তি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে এমন একপেশে ম্যাচ সচরাচর দেখা যায় না। পুরো ম্যাচজুড়ে ইন্টার মিলান যেন শুধু ছায়া হয়ে ছিল। ৭৪ মিনিট পর্যন্ত তারা গোলমুখেও শট নিতে পারেনি, বিপরীতে পিএসজি তখন পর্যন্ত তুলে ফেলেছিল চারটি গোল।

কোচ লুইস এনরিকে পুরো আসরজুড়েই দলকে বল দখলে রেখে আক্রমণের কৌশলে খেলিয়েছেন। ফাইনালেও সেই পরিকল্পনা নিখুঁতভাবে কার্যকর হয়। শুরুর ১৫ মিনিটেই বল দখলে পিএসজি ছিল প্রায় ৬৩ শতাংশ সময়, আর তারই প্রতিফলন দেখা যায় গোলের খাতায়।

১২ মিনিটে প্রথম আঘাত। ভিতিনহার দুর্দান্ত ডিফেন্সচেরা পাস ডি-বক্সে পেয়ে যান দুয়ে। দুর্দান্ত ফিনিশারের মতো না খেলে আলতো পাস দেন আশরাফ হাকিমিকে। সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করতে ভুল করেননি মরক্কান ডিফেন্ডার।

২০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দুয়ে নিজেই। ডেম্বেলের সঙ্গে বোঝাপড়ার এক নিখুঁত আক্রমণ থেকে ফাঁকা জায়গায় সময় নিয়ে শট নেন। বল ডিমার্কোর পায়ে লেগে গোললাইন অতিক্রম করে। স্কোরলাইন তখন ২-০। ইন্টার এক পর্যায়ে সেটপিস থেকে ফিরে আসার সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। তাদের ব্যর্থতাকে আরও বড় করে তোলে পিএসজির বিধ্বংসী কাউন্টার অ্যাটাক।

বিরতির পর ইন্টার মিলান কিছুটা সংগঠিত হয়ে মাঠে ফিরে সমতায় ফেরার চেষ্টা করে। কিন্তু পিএসজির সুশৃঙ্খল রক্ষণে ভেঙে পড়ে তাদের সব পরিকল্পনা। ঠিক তখনই শুরু হয় ডেম্বেলে-ভিতিনহা-কাভারাতসখেলিয়ার ট্রায়োর তাণ্ডব।

৬৩ মিনিটে ডেম্বেলের ব্যাকহিল থেকে বল পেয়ে ভিতিনহা জোড়ালো পাস দেন, যেটি ফার্স্ট টাইমে গোল করে ব্যবধান ৩-০ করেন কাভারাৎসখেলিয়া। ৭৩ মিনিটে আরেকবার ডেম্বেলের অ্যাসিস্ট। এবার সহজ ফিনিশ করেন আবারও কাভারা। ইন্টার তখন কার্যত ভেঙে পড়ে। ৮৬ মিনিটে ম্যাচের শেষ পেরেক ঠুকে দেন তরুণ সেনি মায়ুলু। বারকোলার পাস থেকে গোল করে স্কোরলাইন করেন ৫-০।

এই জয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। একসময় এই ক্লাবের সামনে ছিলেন মেসি, নেইমার, এমবাপে— যারা মিলে পারেননি ইউরোপ জয়ের কাজটি শেষ করতে। অথচ ডেম্বেলে, ভিতিনহা, হাকিমি, কাভারা ও দুয়ের মতো তুলনামূলক কম তারকাসমৃদ্ধ দল-ই নিয়ে এল সেই কাঙ্ক্ষিত শিরোপা।

এই জয় শুধু ট্রফি জেতা নয়, বরং পিএসজি-র ক্লাব ইতিহাসে এক নবযুগের সূচনা। যেখানে কৌশল, গতি, নিষ্ঠা এবং একতাই গড়ে দেয় বিজয়ের পথ।

পিপলসনিউজ/আরইউ

-- বিজ্ঞাপন --


CONTACT

ads@peoplenewsbd.com

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে পোস্ট, সেই ওসি প্রত্যাহার ডাকসু নির্বাচন নিয়ে পোস্ট, সেই ওসি প্রত্যাহার ভাঙ্গায় অবরোধ চলছে, ঢাকার সঙ্গে ২১ জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ভাঙ্গায় অবরোধ চলছে, ঢাকার সঙ্গে ২১ জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ কিরগিজস্তান থেকে দেশে ফিরেছেন ১৮০ বাংলাদেশি কিরগিজস্তান থেকে দেশে ফিরেছেন ১৮০ বাংলাদেশি কুষ্টিয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে মামা ও ভাগ্নে নিহত কুষ্টিয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে মামা ও ভাগ্নে নিহত বছরে ২০ হাজার আত্মহত্যা, ৩৫ শতাংশ কিশোরী বছরে ২০ হাজার আত্মহত্যা, ৩৫ শতাংশ কিশোরী