শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ
প্রকাশ : ১০-১১-২০২৫ ১০:৪৯
ছবি : সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
নব্বইয়ের দশকের শেষ ভাগে তৎকালীন স্বৈরশাসকের হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পতন ঘটানো শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর নূর হোসেনের রক্তে রঞ্জিত হয়ে ঢাকার রাজপথ। গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে অনিবার্য পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় দার সেই আত্মত্যাগ।
নিজের শরীরে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ লিখে বিক্ষোভ করছিলেন। এমন সময়ই তাকে গুলি করে বসে পুলিশ। তার এ প্রয়াণ দিবস গণতন্ত্র মুক্তি দিবস হিসেবেও পালিত হয়ে আসছে।
সামরিক স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ জনতার উত্তাল আন্দোলনের এক দিন আজ। এই দিনে নূর হোসেন ছাড়াও যুবলীগের আরেক নেতা নূরুল হুদা বাবুল এবং কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটো শহীদ হন। সেদিন হাজারো প্রতিবাদী যুবকের সঙ্গে জীবন পোস্টার হয়ে রাজপথে নেমে এসেছিলেন নূর হোসেনও। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ দিবসটি পালন করবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সেই সময়ের অকুতোভয় এই নূর হোসেনদের জন্যই প্রবল শক্তিশালী স্বৈরশক্তিও মাথনত করতে বাধ্য হয়। স্বৈরাচারের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নূর হোসেনের বুক ঝাঁঝরা করে দেয়। তার আত্মত্যাগে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন আরো বেগবান ও তিন জোটের সংগ্রাম অপ্রতিরোধ্য রূপ লাভ করে।
ঢাকার নারিন্দায় এক অটোরিকশাচালকের ঘরে জন্ম নেওয়া নূর হোসেন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া শেষে গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর আওয়ামী লীগের মিছিল পল্টন এলাকার জিরো পয়েন্ট অতিক্রম করার সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুড়ে মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করে। তখন নূর হোসেন ও যুবলীগ নেতা বাবুল গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। তার বুকে-পিঠের স্লোগান আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠে।
নূর হোসেন শহীদ হওয়ার মাস না পেরোতেই ৬ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন এরশাদ। ১৯৮৮ সালের মার্চে নির্বাচন হলেও বড় দলগুলো অংশ না নেওয়ায় তা বৈধতা পায়নি। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগ করেন। ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিএনপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে। যে জায়গায় নূর হোসেন গুলিবিদ্ধ হন, সেই জিরো পয়েন্ট এখন শহীদ নূর হোসেন চত্বর নামে পরিচিত।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com