পঞ্চগড় সীমান্তে ভারতের নতুন সেনা ঘাঁটি, কুড়িগ্রাম সীমান্তে স্টেশন
প্রকাশ : ০৭-১১-২০২৫ ১৮:৩৮
ছবি : সংগৃহীত
পিপলসনিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতাকে সামনে রেখে ভারতের সেনাবাহিনী অতি অল্প সময়ের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলায় নতুন একটি সামরিক ঘাঁটি চালু করেছে। পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সীমান্ত প্রতিরক্ষা জোরদার করতে আসামের ধুবরিতেও নতুন একটি সেনা স্টেশন গড়ে তোলা হচ্ছে। খবর ডেকান ক্রনিকেলের।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনেও এ তথ্য জানানো হয়। বৃহস্পতিবার পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় নবনির্মিত ঘাঁটি পরিদর্শন করেন, যা বাংলাদেশ সীমান্তের কাছেই অবস্থিত।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড এক্স-এ এক পোস্টে জানায়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি, আর্মি কমান্ডার ইস্টার্ন কমান্ড, চোপড়া ডিফেন্স ল্যান্ডে ব্রহ্মাস্ত্র কর্পসের মোতায়েন সৈন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি অল্প সময়ের মধ্যেই ঘাঁটিটি স্থাপন ও কার্যকর করার জন্য তাদের পেশাদারত্ব, অদম্য উৎসাহ ও নিরলস প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি সৈন্যদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি বজায় রাখতে ও উদীয়মান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্রিয় থাকার আহ্বান জানান।
ইস্টার্ন কমান্ডের পোস্টে আরও বলা হয়, আর্মি কমান্ডার স্থানীয় এমএলএ হামিদুল রহমানসহ নাগরিক নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তিনি সেনা-বেসামরিক সহযোগিতা জোরদার করে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এর আগে লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারি আসামের সীমান্ত এলাকায় চার (গজরাজ) কর্পস সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন এবং ধুবরির বামুনিগাঁও এলাকায় লাচিত বরফুকন সামরিক স্টেশনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে অবস্থিত ধুবরি জেলার স্টেশনটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে এবং ভুটানের সীমান্তের কাছেও অবস্থিত। ফলে এটি সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনাবাহিনীর রসদ, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কিংবদন্তি আহোম যোদ্ধা ও সেনানায়ক লাচিত বরফুকনের নামে নামকরণ করা এই স্টেশনটি আসামের সাহস, নেতৃত্ব এবং ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হবে।
পরিদর্শনকালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারি সীমান্ত এলাকার অপারেশনাল প্রস্তুতি ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেন। তিনি চলমান অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কেও অবহিত হন।
আসাম সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতার প্রশংসা করে তিওয়ারি বলেন, নতুন সামরিক স্টেশন প্রতিষ্ঠায় তাদের সক্রিয় ভূমিকা সেনাবাহিনীর কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। একইসঙ্গে, প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে গজরাজ কর্পসের সদস্যদের পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার প্রশংসা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত পরিচালনার পাশাপাশি সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশজুড়ে প্রায় এক হাজার ৩৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) তত্ত্বাবধান করে। নতুন ‘লাচিত বরফুকন সামরিক স্টেশন’ জাতীয় নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও রাজ্য প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রতীক হিসেবে দাঁড়াবে।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com