২১৫ কোটি টাকায় বিক্রি পাটেক ফিলিপের ঘড়ি, নতুন রেকর্ড
প্রকাশ : ১০-১১-২০২৫ ১০:৪৭
ছবি : সংগৃহীত
পিপলসনিউজ ডেস্ক
পাটেক ফিলিপ কোম্পানির ১৯৪৩ সালে তৈরি বিশেষ ঘড়িটি আবারো রেকর্ড গড়ল। নিলাম প্রতিষ্ঠান ফিলিপস জানিয়েছে, ঘড়িটি ১৪ দশমিক ১৯ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১৪ কোটি ৮০ লাখ ৮২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ঘড়িটি ২০১৬ সালেও বিশ্বের সবচেয়ে দামি হাতঘড়ির খেতাব পেয়েছিল। তখন এটি ১১ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ বা ১৬৮ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
১৯৪৩ সালে তৈরি হওয়া বিরল ঘড়িটির নাম পাটেক ফিলিফ পারপেচুয়াল ক্যালেন্ডার ক্রোনোগ্রাফ রেফারেন্স ১৫১৮। স্টেইনলেস স্টিলে তৈরি এমন ঘড়ি মাত্র চারটি আছে, যা একে সোনার সংস্করণের চেয়েও বেশি মূল্যবান করেছে।
যদিও ২০১৬ সালের সেই বিশ্বরেকর্ড ২০১৭ সালে ভেঙে দেয় হলিউড তারকা পল নিউম্যানের রোলেক্স ডেটোনা, যা ১৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার বা ২১৭ কোটি টাকার বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। পরে ২০১৯ সালে পাটেক ফিলিপের আরেকটি ঘড়ি গ্রান্ডমাস্টার চাইম ৩১ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৭৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়ে নতুন ইতিহাস গড়ে।
নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ফিলিপস জানায়, এই সপ্তাহের নিলামে ১৫১৮ ঘড়িটি আবারও প্রমাণ করল যে এটি ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাতঘড়ি।
জানা গেছে, মাত্র সাড়ে নয় মিনিটের মধ্যেই নিলামে বিক্রি সম্পন্ন হয়। পাঁচজন ক্রেতা দরপত্রে অংশ নেন। শেষ পর্যন্ত ফোনের মাধ্যমে একজন ক্রেতার কাছে ঘড়িটি বিক্রি হয়।
জেনেভার হোটেল প্রেসিডেন্টে নিলামটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বহু বিখ্যাত সংগ্রাহক, ব্যবসায়ী ও ঘড়ি প্রস্তুতকারক উপস্থিত ছিলেন।
ফিলিপস জানায়, এটি এমন এক ঘড়ি যা অর্জনের পর একজন ক্রেতা মনে করেন— তিনি সংগ্রহের শীর্ষে পৌঁছে গেছেন। ১৯৪১ সালে বাজারে আসা এই মডেল ছিল বিশ্বের প্রথম সিরিয়ালি উৎপাদিত পারপেচুয়াল ক্যালেন্ডার ক্রোনোগ্রাফ ঘড়ি।
পাটেক ফিলিপ কোম্পানি প্রায় ২৮০টি রেফারেন্স এক হাজার ৫১৮ ঘড়ি তৈরি করেছিলেন। যার বেশিরভাগই হলুদ সোনায় ও প্রায় এক-পঞ্চমাংশ গোলাপি সোনায় মোড়ানো ছিল। কিন্তু স্টেইনলেস স্টিলে তৈরি মাত্র চারটি ঘড়ির আজ পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া গেছে। আর এবারের বিক্রিত ঘড়িটিই ছিল তাদের মধ্যে প্রথমটি। কেন পাটেক ফিলিপ এই স্টিল সংস্করণ তৈরি করেছিল, তা আজও রহস্য।
নিলাম প্রতিষ্ঠানের দাবি, এটি কিংবদন্তির পর্যায়ের একটি টাইমপিস— যেখানে ঐতিহাসিক গুরুত্ব, নকশা, যান্ত্রিক উদ্ভাবন ও বিরলতার পরিপূর্ণ মিলন ঘটেছে।
দুই দিনের এই নিলামে মোট ২০৭টি ঘড়ি বিক্রি হয়ে ৬৬ দশমিক আট মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০০ কোটি ৯৪ লাখ টাকার বেশি আয় হয়েছে। যা কোনো ঘড়ি নিলামের সর্বোচ্চ মোট বিক্রি হিসেবে রেকর্ড গড়েছে। বিশ্বের ৭২টি দেশের ১ হাজার ৮৮৬ জন নিবন্ধিত দরদাতা এতে অংশ নেন।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com