যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মস্কোতে যাবেন না জেলেনস্কি
প্রকাশ : ০৭-০৯-২০২৫ ১৬:৪৫

ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মস্কোতে শান্তি আলোচনায় বসার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দেওয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। এবিসি নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, যতক্ষণ যুদ্ধ চলবে, ততক্ষণ তিনি মস্কোতে যাবেন না। তিনি পুতিনকে কিয়েভে আসার আমন্ত্রণ জানান।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, আমার দেশ যখন প্রতিদিন ক্ষেপণাস্ত্র এবং আক্রমণের শিকার হয়, তখন আমি মস্কো যেতে পারি না। আমি এই সন্ত্রাসীর রাজধানীতে যেতে পারি না।
যদিও তিনি মস্কো যেতে রাজি হননি, তবে ইউক্রেনীয় নেতা পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে সম্মত আছেন বলে জানিয়েছেন। জেলেনস্কি বলেন, তিনি যেকোনো ফরম্যাটে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে প্রস্তুত।
এদিকে, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের সমীকরণ দিন দিন আরো জটিল হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিন ও জেলেনস্কির আলাদা বৈঠক হলেও কোনো উল্লেখযোগ্য সমাধান আসেনি। তবে ট্রাম্প বারবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন-রাশিয়ার সরাসরি বৈঠকের আশ্বাস দিয়েছেন।
গত বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) চীনের তিয়েনানমেন স্কোয়ারে বিজয় দিবসের সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দেওয়ার পর পুতিন বলেন যে, বৈঠকের জন্য জেলেনস্কি যেকোনো সময় মস্কোতে আসতে পারেন। তবে তিনি নিজেও জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসার কোনো আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি জেলেনস্কির সঙ্গে এমন বৈঠকের সম্ভাবনা কখনো নাকচ করিনি। কিন্তু ওই বৈঠকে বসার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে? তিনি আরো বলেন, যেকোনো বৈঠকের ভালো ফলাফলের জন্য প্রস্তুতি প্রয়োজন হয়। যদি বৈঠকের বিষয়ে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে থাকে, তবে আমিও বৈঠকের জন্য প্রস্তুত।
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও পুতিনকে রাজি করানো যায়নি এবং এটি তার সময়ের সবচেয়ে কঠিন সংঘাত। ট্রাম্পের দাবি, তিনি অন্যান্য বৈশ্বিক সংকট সমাধান করতে পারলেও, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ একটি ভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বিভাগ দাবি করেছে যে, পোকরোভস্ক এলাকায় রাশিয়া তাদের কৌশল পরিবর্তন করেছে। তারা বড় আকারের হামলা না চালিয়ে ছোট ছোট দলে শহরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো ইউক্রেনের ড্রোন এবং মর্টার অবস্থানের কাছাকাছি পৌঁছে প্রতিরক্ষা ভেদ করা এবং নতুন করে 'গ্রে জোন' সম্প্রসারণ করা।
ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে যে, বর্তমানে প্রায় সাত লাখ রুশ সেনা ইউক্রেনে অবস্থান করছে, যার একটি বড় অংশ দোনেৎস্কে মোতায়েন করা হয়েছে। তারা আরো দাবি করেছে যে উত্তর কোরীয় সেনারা এই শক্তিবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
কিয়েভের সূত্র অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়া শুধু সেনাই নয়, গোলাবারুদ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও সরবরাহ করছে। বর্তমানে রুশ বাহিনীর ৪০-৬০ শতাংশ গোলাবারুদ উত্তর কোরিয়ায় তৈরি।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com