সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন হাসপাতালে, দোয়া চাইলেন সবার
প্রকাশ : ০৭-০৭-২০২৫ ১৩:৩৪

ছবি : সংগৃহীত
বিনোদন প্রতিবেদক
শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন লালনসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন। তিন দিন আগে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন এই শিল্পী।
শুরুতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পর রবিবার (৬ জুলাই) থেকে তাকে সাধারণ কেবিন দেওয়া হয়েছে। তার ছেলে ইমাম জাফর নোমানি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইতোমধ্যে ফরিদা পারভীন চিকিৎসার জন্য সহায়তা চাইছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। তবে এই কথা নাকচ করে তার ছেলে নোমানি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমরা যে কজন ভাইবোন আছি। আমরা ওয়েল এস্টাবলিশ। আমরা আমাদের মায়ের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে সক্ষম। আর আমরা যদি চিকিৎসা ব্যয় বহন নাও করি তাহলে আমার মায়ের যে টাকা-পয়সা আছে; তা দিয়েও চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, তাকে সার্বক্ষণিক দেখাশোনার জন্য আমরা ও আমাদের ওয়াইফ, আমাদের বোন ও বোনের স্বামী সবাই সার্বক্ষণিক তার পাশে আছি।
তিনি বলেন, তার অসুস্থতার খবর শুনে উপদেষ্টা থেকে শুরু করে আমাদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় থেকেও যোগাযোগ করা হয়েছে যে, তার চিকিৎসায় কোনো আর্থিক সাহায্য লাগবে কিনা। এটি জানার পর আমার আম্মা জানিয়েছেন, তিনি এ ধরনের কোনো সহযোগিতা নিতে চান না।
ফরিদা পারভীন বছরের শুরুতে একবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাসায় ফেরেন তিনি।
১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন।
ফরিদা পারভীন ১৯৮৭ সালে সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান। এ ছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ১৯৯৩ সালে। শিশুদের লালনসংগীত শিক্ষার জন্য ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামে একটি গানের স্কুল গড়ে তুলেছেন তিনি।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com