সরাইলে নিখোঁজের একদিন পর মসজিদে মিলল শিশুর রক্তাক্ত লাশ
প্রকাশ : ০৭-০৭-২০২৫ ১২:০০

ছবি : সংগৃহীত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে নিখোঁজের একদিন পর মায়মুনা আক্তার ময়না (৯) নামে এক শিশুর বিবস্ত্র ও রক্তাক্ত লাশ স্থানীয় একটি মসজিদের দ্বিতীয় তলা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৬ জুলাই) সকালে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ছন্দুমিয়ার পাড়া থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বলছে, পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর লাশটি এনে মসজিদে এনে ফেলে রাখা হতে পারে।
নিহত ময়না ওই পাড়ার বাহরাইন প্রবাসী আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে এবং লতিফ মোস্তারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পাশাপাশি সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নূরানী বিভাগে পড়াশোনা করত।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানান, শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে ময়না বাড়ি থেকে খেলাধুলা করতে বের হয়, তারপর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হলেও কোনো খবর না পেয়ে মাইকিং করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে ময়নার মা লিজা আক্তার সরাইল থানায় একটি জিডি করেন।
জানা যায়, ছন্দুমিয়া পাড়া জামে মসজিদে শুক্রবারে জুম্মার নামাজে বেশি লোকজন হলে দ্বিতীয় তলায় নামাজ আদায় করা হয়। সেখানে প্রতিদিন শিশুদের আরবি পড়ানো হয়। প্রতিদিনের মতো রবিবার (৬ জুলাই) সকালে ওই মসজিদের মক্তবে শিক্ষার্থীরা আরবি পড়তে আসে। এ সময় দ্বিতীয় তলায় শিশু ময়নার লাশ পড়ে থাকতে দেখে তারা। শিশুদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে। পরে ময়নার পরিবারের লোকজনও এসে লাশ শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে সরাইল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ ছাড়াও পিবিআই ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এদিকে, এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামবাসী এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।
সরাইল থানার ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, শনিবার রাতেই শিশুটির মা থানায় একটি জিডি করেছিলেন। সকালে স্থানীয় মসজিদের দ্বিতীয় তলা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। লাশ গুম করতে মসজিদের দ্বিতীয় তালায় ফেলে রাখা হয়।
সরাইল সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) তপন সরকার বলেন, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে দুইজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে, তবে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা— তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com