আদালতে কান্না-হাসির দোলাচলে তুরিন আফরোজ!
প্রকাশ : ২৩-০৪-২০২৫ ১৪:৩৩

ছবি : সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) আদালতে তোলার সময় তাকে হাসতে দেখা যায়। তবে আদালতে কাঠগড়ায় উঠানোর পর তিনি পেছনে দাঁড়িয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন।
এ সময় সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা তানভীর হাসান সৈকত সান্ত্বনা দেন তুরিন আফরোজকে। এদিন সকাল ৯ টা ৫৫ মিনিটে তাকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় তার মাথায় হেলমেট ও গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরানো ছিল। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি শুরু হয়।
তার আইনজীবী বিচারকের উদ্দেশ্যে বলেন, তুরিন আফরোজকে নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি কিছু কথা বলবেন। পরে বিচারকের অনুমতি নিয়ে তিনি বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি ন্যায় বিচার চাই। কোনোকালে আমার রাজনৈতিক পদ-পদবি ছিল না। আমি শুধু পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছি। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। আমি হাঁটতে পারি না।
পরে রপাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, যা বলছে সত্য না। মিথ্যা কথা বলে এ ঘটনা অন্যদিকে ঘুরানোর চেষ্টা করছে। আদালতে প্যানিক সৃষ্টি করছে। তখন তুরিন নিজের পায়ে নির্যাতনের চিহ্ন বিচারককে দেখান। শুনানি শেষে উত্তরা পশ্চিম থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখান ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালত। পরে পুলিশের প্রহরায় তাকে হাজতখানায় নেওয়া হয়। এসময়ও তাকে হাস্যজ্বল দেখা যায়। তবে সাংবাদিকরা অনেক প্রশ্ন করলেও তিনি কোনো কথা বলেননি।
গত ৭ এপ্রিল রাতে উত্তরার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আব্দুল জব্বার নামে এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ৮ এপ্রিল তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ১২ এপ্রিল তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com