কপিল শর্মার কানাডার ‘ক্যাপ্স ক্যাফেতে’ গুলিবর্ষণ
প্রকাশ : ১১-০৭-২০২৫ ১২:৫১

ছবি : সংগৃহীত
বিনোদন ডেস্ক
কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারে শহরে বলিউড কৌতুকশিল্পী কপিল শর্মার নতুন রেস্তোরাঁ ‘ক্যাপ্স ক্যাফে’‑তে সশস্ত্র হামলা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
বুধবার (৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অজ্ঞাত হামলাকারীরা একটি গাড়ি থেকে কমপক্ষে নয়টি গুলি ছোড়ে; পরে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে তীব্র শব্দের পর গাড়ির জানালা দিয়ে পিস্তলধরা একটি হাত বারবার ফায়ার করতে দেখা যায়।
হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিজেকে খালিস্তানপন্থি হিসেবে পরিচয় দেওয়া হরজিৎ সিং লাড্ডি দায় স্বীকার করে অনলাইনে একটি বার্তা পোস্ট করেন। তবে তার দাবি কতটা সত্য, তা নির্ধারণে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমেও ছায়া–তদন্ত শুরু করেছে বলে সারে থানার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া ক্যাপ্স ক্যাফেই ছিল সরাসরি টার্গেট, যদিও হামলার পেছনে আর্থিক কিংবা ব্যক্তিগত বিরোধ আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশের বয়ান অনুযায়ী, ঘটনাস্থল থেকে খালি খোসা জব্দ করা হয়েছে; হতাহতের খবর নেই, কিন্তু ক্যাফের সামনের কাচ ও ভেতরের সাজসজ্জায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে এবং আশপাশের দোকান ও সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
‘দ্য কপিল শর্মা শো’র জনপ্রিয় সঞ্চালক কপিল শর্মার জন্য এটি রেস্তোরাঁ ব্যবসায় প্রথম পদক্ষেপ ছিল। স্ত্রী গিন্নি চত্রথ এই প্রকল্পে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। ক্যাপ্স ক্যাফেতে মূলত ভারতীয় ফিউশন খাবার পরিবেশিত হয়। হামলার পর কপিল বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে সরাসরি প্রতিক্রিয়া না এলেও, ম্যানেজমেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন—ক্যাফের নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে এবং দ্রুত স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসার চেষ্টা চলছে।
এই ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন কপিল শর্মার ক্যাফের টিম। এক বিবৃতিাতে বলা হয়েছে, ‘এখনো ধাক্কা সামলে উঠতে পারিনি, তবে হাল ছাড়ছি না।’
কপিলের টিমের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘আমরা ক্যাপস ক্যাফে খুলেছিলাম গরম কফির সঙ্গে উষ্ণ অভ্যর্থনা পরিবেশন করব বলে। আশা ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ কথোপকথনের মধ্য দিয়ে আমাদের বিদেশি পরিবারের সকলকে নিয়ে একটা জমাটি আড্ডা হবে। আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম, এই ক্যাফে আগত অতিথিদের জীবনে আনন্দঘন মুহূর্ত তৈরি করবে। কিন্তু এমন হিংসামূলক ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের এই স্বপ্নভঙ্গ করা ভীষণই হৃদয়বিদারক।
কানাডা‑ভিত্তিক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা নিয়ে ভারত‑কানাডা সম্পর্কে ইতিমধ্যেই টানাপড়েন চলছে। তার মধ্যে এ ধরনের হামলা নতুন করে উত্তেজনা বাড়াল বলেই পর্যবেক্ষকদের মত। এবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিল্লি এবং ওটাওয়ার মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ কতটা গতি পায়, তা এখন দেখার বিষয়।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com