খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি-বোমা হামলা, মাদ্রাসা শিক্ষক নিহত
প্রকাশ : ০৩-১১-২০২৫ ১১:৪২
ছবি : সংগৃহীত
খুলনা ব্যুরো
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট-সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। রবিবার (২ নভেম্বর) রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরো তিনজন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
নিহত ইমদাদুল হকের ছেলে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার্থী অনিক বলেন, মাহফিলের টাকা সংগ্রহে গিয়ে আমার বাবা মারা গেছেন। আমি মেডিক্যালে পরীক্ষা দেব। বাবা ভালো মানুষ ছিলেন। আব্বুর স্বপ্ন ছিল আমি ডাক্তার হব। এখন কীভাবে লেখাপড়া করব জানি না।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। রবিবার রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তুহিনুজ্জামান বলেন, রাতে সন্ত্রাসীদের হামলায় এক শিক্ষক নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে তদন্ত চলছে।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com