গোপালগঞ্জে তিন মামলার আসামি ২৬০০, গ্রেপ্তার ১৬৭
প্রকাশ : ১৯-০৭-২০২৫ ১১:৪৪

ছবি : সংগৃহীত
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ও পদযাত্রাকে ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় গত দু’দিনে তিনটি মামলা করা হয়েছে। এতে দুই হাজার ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। একই সময়ে অন্তত ১৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করার তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ৪৮ জনকে শুক্রবার (১৮ জুলাই) সদর থানায় করা একটি মামলায় প্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অভিযান) ড. রুহুল আমিন সরকার বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে আটকদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। অপরাধসংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত হলেই কেবল তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।
এনসিপির সমাবেশ ও পদযাত্রার দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিতে চারজন নিহত হন। আহত একজন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ।
বুধবার রাত ৮টা থেকে এই জেলা শহরে কারফিউ চলছে। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় কারফিউ কয়েক ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়। আবার কারফিউ বলবৎ হলে শহরে জনশূন্য হয়ে পড়ে। শহরের ছোট-বড় রাস্তাগুলো ছিল যানবাহনশূন্য।
পুলিশ জানিয়েছে, তিন মামলায় এবং সন্দেহভাজন হিসেবে ৫৪ ধারায় জেলায় মোট ১৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর থানায় ৪৮, মুকসুদপুর থানায় ৬৬, কাশিয়ানী থানায় ২৪, টুঙ্গিপাড়া থানায় ১৭ ও কোটালীপাড়া থানায় ১২ জন। সংশ্লিষ্ট থানার ওসিরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আহম্মেদ আলী বাদী হয়ে ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি নিউটন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আতাউর পিয়ালসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন। এতে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৪৫০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি জানান, এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বুধবার গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার উলপুরে পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। ছাত্রলীগের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের নেতৃত্বে একদল লোক এ ঘটনা ঘটায়। এতে পুলিশের পরিদর্শক আহম্মেদ আলীসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বলেন, সদরে গ্রেপ্তার ৪৮ জনকে শুক্রবার আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com