weather ২৬.৯৯ o সে. আদ্রতা ৯৪% , বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছয় মাসে নির্যাতনের শিকার দেড় হাজার নারী-কন্যাশিশু: মহিলা পরিষদ

প্রকাশ : ০২-০৭-২০২৫ ১২:০৪

ছবি : সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে সারাদেশে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক হাজার ৫৫৫ জন নারী ও কন্যাশিশু। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৩৫৪ জন, যার মধ্যে কন্যাশিশু ও কিশোরী ২৬৯ জন এবং প্রাপ্তবয়স্ক নারী ৮৫ জন। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১০৬ জন, যার মধ্যে শিশু-কিশোরী ৬২ জন। বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৮১৯ নারী ও ৭৩৬ শিশু ও কিশোরী।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বিবৃতিতে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ ১৫টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ পরিসংখ্যান তৈরি করে। 

বিবৃতিতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু জানান, কেবল জুনে ১১৬ নারী ও ৮৭ জন কন্যাসহ ২০৩ জন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের শিকার ৬৫ জনের মধ্যে কন্যাশিশু ৪৩ জন। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার আট জন, এদের মধ্যে পাঁচ জন কন্যা। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে তিন জনকে, যার মধ্যে দুই জন কন্যা। ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন সাত কন্যাশিশু।

উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন পাঁচ জন নারী ও কন্যা; যার মধ্যে দুই জন আত্মহত্যা করেছেন। এ ছাড়া ১৩ জন কন্যাসহ ৬৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং দুই জন কন্যাসহ ১১ জনের মৃত্যু রহস্যজনকভাবে ঘটেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন তিন নারী, যাদের মধ্যে দুিই জন মারা গেছেন। এসিডদগ্ধ হয়েছেন এক জন নারী। তিন জন নারী অগ্নিদগ্ধ (যার মধ্যে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে), যৌতুক নির্যাতনের শিকার এক নারী এবং পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ছয় জন। আত্মহত্যা করেছেন ছয় কন্যাসহ ২২ জন। অপহরণ হয়েছে দুই কন্যা, সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন এক জন এবং বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে দুটি।

সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে নির্যাতনের শিকার এক হাজার ৫৫৫ জন নারী ও কন্যাশিশুর মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৭ জনকে। ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন চার কিশোরী। এদের মধ্যে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১২৭ জনকে। যৌন নিপীড়নের শিকার ৫১ জন। ৩১ জনকে উত্ত্যক্ত করা হয়েছে। উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন তিন জন। ২১ নারী ও কন্যাশিশু পাচার হয়েছেন। একজন এসিড সন্ত্রাসের শিকার। ৬১ কন্যাসহ হত্যার শিকার হয়েছে ৩২০ নারী ও কন্যাশিশু। 

সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, এ পরিসংখ্যান শুধু পত্রিকায় প্রকাশিত ঘটনার ওপর ভিত্তি করে। বাস্তবে সংখ্যাটা আরো বেশি। বিশেষ করে কন্যাশিশুর ওপর সহিংসতা ও দলবদ্ধ ধর্ষণের সংখ্যা উদ্বেগজনক। এটি সমাজের জন্য অ্যালার্মিং।

তিনি বলেন, ছয় মাসে হাজারের বেশি নারী-কন্যা নির্যাতনের শিকার হলেও মহিলা মন্ত্রণালয় বা সরকারের উচ্চপর্যায়ের কেউ কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি; যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আছিয়া ধর্ষণ মামলায় তড়িঘড়ি করে বিচার হয়েছে, কিন্তু ভালো তদন্ত না হওয়ায় পরিবার সন্তুষ্ট নয়। এ ধরনের বিচারে দ্রুততা নয়, নির্ভুলতা জরুরি। তিনি নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার তাগিদ দেন।

পিপলসনিউজ/আরইউ

-- বিজ্ঞাপন --


CONTACT

ads@peoplenewsbd.com

রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন দিতে ৮৬ বার সময় নিল সিআইডি রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন দিতে ৮৬ বার সময় নিল সিআইডি নয় কোটি টাকার সরকারি অনুদান পেল ৩২ ছবি নয় কোটি টাকার সরকারি অনুদান পেল ৩২ ছবি পুত্রবধূকে সিনেট নির্বাচনে প্রার্থী মনোনীত করলেন ট্রাম্প পুত্রবধূকে সিনেট নির্বাচনে প্রার্থী মনোনীত করলেন ট্রাম্প পটিয়া থানা ঘেরাও বৈষম্যবিরোধীদের, ওসির অপসারণ দাবি পটিয়া থানা ঘেরাও বৈষম্যবিরোধীদের, ওসির অপসারণ দাবি জুনে সড়কে প্রতিদিন গড়ে ২৩ প্রাণহানি: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জুনে সড়কে প্রতিদিন গড়ে ২৩ প্রাণহানি: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন