দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে অনশন ভাঙলেন জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
প্রকাশ : ১৭-০৫-২০২৫ ০০:১৫

ছবি : সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে অনশন ভেঙেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যায়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে উপস্থিত হন। তিনি জানান, সরকার তাদের দাবি মেনে নিয়েছে এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিনটি প্রধান দাবি উত্থাপন করেছিল, যেগুলো সরকার মেনে নিয়েছে বলে অধ্যাপক ফায়েজ জানিয়ে দেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে যে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তা তুলে ধরেন। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বাড়ানোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রথম দাবিটি পূরণ করা হবে। এ ছাড়া, আবাসন সংকট মেটাতে দ্রুত অস্থায়ী হল নির্মাণ করা হবে এবং নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
এরপর ইউজিসি চেয়ারম্যান একটি শিক্ষার্থীকে পানি পান করিয়ে গণ-অনশন ভাঙান। উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ সাবিনা শরমীন এবং শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দীন।
এদিকে, কিছু শিক্ষার্থী অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে দাবির বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা না দিলে তারা আন্দোলন স্থগিত করবেন না।
আন্দোলনের মূল দাবিসমূহ-
আবাসন ব্যবস্থা: ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি প্রদান। বাজেট বৃদ্ধি: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদন। নতুন ক্যাম্পাস: দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় অনুমোদন এবং অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়ন।
অন্তত দু’সপ্তাহ ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টা বাসভবন যমুনা অভিমুখে একটি লংমার্চের পর পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড এবং জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। এতে প্রায় অর্ধশত শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হন।
এরপর বিক্ষোভকারীরা কাকরাইলে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান। শুক্রবার বিকালে তারা গণ-অনশন শুরু করেন।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com