বিয়ের ৩০ বছর পর দাখিল পাস করলেন দম্পতি
প্রকাশ : ১১-০৭-২০২৫ ১৩:১২

ছবি : সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিয়ের ৩০ বছর পর একসঙ্গে দাখিল পাস করেছেন স্বামী-স্ত্রী। দুজনই জিপিএ চার দশমিক ১১ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তারা হলেন, উপজেলার গোবরিয়া গ্রামের মো. কাইসার হামিদ (৫১) ও মোছা. রোকেয়া আক্তার (৪৪)।
এবার নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বিন্নাবাইদ দারুল উলুম দাখিল মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন তারা।
কাইসার হামিদ ও রোকেয়া আক্তার দুজনই সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত রয়েছেন। কাইসার বর্তমানে দৈনিক নয়াদিগন্ত কুলিয়ারচর প্রতিনিধি ও রোকেয়া দৈনিক বুলেটিন প্রতিনিধি।
এ দম্পতির পাঁচ সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। দ্বিতীয় মেয়ে স্নাতকের শেষ বর্ষে, তৃতীয় মেয়ে মাইমুনা নার্সিংয়ে পড়ছেন। আর ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন নবম এবং ফাহিম সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
কাইসার হামিদ বলেন, লেখাপড়ার জন্য দুঃখবোধ কাজ করতো। তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে দুজন ভর্তি হয়ে গেলাম মাদরাসায়। এবার আল্লাহ আমাদের মনের আশা পূরণ করেছে।
কাইসার-রোকেয়া দু-জনের বাবা পেশায় ছিলেন শিক্ষক। তারা বিয়ে করেন ১৯৯৪ সালের ১৬ মার্চ।
আনন্দিত রোকেয়া আক্তার বলেন, অল্প বয়সে বিয়ে হয় পরে সন্তান জন্ম হয়। এ কারণে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। এই কষ্ট দুই যুগের অধিক সময় ধরে বয়ে বেড়াতে হয়েছে। আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই কষ্ট দূর করার উপায় খুঁজতাম। এটা বুঝতে পারি কষ্ট দূর করতে হলে পরীক্ষা দিয়ে পাস করার বিকল্প নেই। সে কারণেই সাহস করে পরীক্ষা দিলাম এবং পরীক্ষার ফল পেলাম এখন আমরা খুব খুশি।
দ্বিতীয় সন্তান জেসমিন সুলতানা বলেন, মা-বাবা দুজনই এসএসসি পাস নয় বিষয়টি প্রকাশ করা কষ্টকর ছিল। যদিও এমন পরিস্থিতিতে কখনই পড়তে হয়নি। কারণ কেউ জানতোই না মা-বাবা এসএসসি পাস করেনি। তবে এই বয়সে মা-বাবার পড়াশোনার ইচ্ছা এবং পরীক্ষা দিয়ে পাস করার বিষয়টি আমাদের ভাইবোনদের অনেক আনন্দ দিচ্ছে। আমরা এ থেকে অনুপ্রাণিত হতে পারি। লজ্জা নয় শিক্ষার কোনো বয়স নেই।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com