ভালুকায় মা ও দুই সন্তান হত্যায় দেবর প্রধান আসামি
প্রকাশ : ১৫-০৭-২০২৫ ১৬:১০

ছবি : সংগৃহীত
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ভালুকায় দুই সন্তানসহ এক নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তার দেবরকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
নিহত নারীর বড় ভাই জহিরুল ইসলাম সোমবার (১৪ জুলাই) রাতে ভালুকা মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির এ কথা জানান। তিনি বলেন, মামলায় অজ্ঞাত আরো এক-দুজনকে আসামি করা হয়েছে। মূল আসামি নজরুল ইসলামকে ধরার চেষ্টা চলছে।
প্রধান আসামি নজরুল ইসলাম নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সেনের বাজার গ্রামের সন্তু মিয়ার ছেলে ও নিহত নারীর দেবর।
সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহের ভালুকা পৌর শহরের পনাশাইল এলাকার একটি বাসা থেকে ময়না আক্তার (২৫), তার মেয়ে রাইসা আক্তার (৭) ও ছেলে নীরব হোসেনের (২) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়না ভালুকা উপজেলার রাজৈ ইউনিয়নের পায়লাবর চৌরাস্তা গ্রামের আফতাব উদ্দিনের মেয়ে; তার স্বামী রফিকুল ইসলাম নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সেনের বাজার গ্রামের সন্তু মিয়ার ছেলে।
রফিকুল ইসলাম ভালুকার রাসেল স্পিনিং মিলে শ্রমিকের চাকরি করেন। ওই ভাড়া বাসার দুটি রুমে স্ত্রী-সন্তান ও ছোট ভাই নজরুল ইসলামকে নিয়ে বসবাস করতেন তিনি।
রফিকুল বলেন, রবিবার রাত ৮টার সময় আমি ডিউটিতে চলে যাই। পরে সাড়ে ১০টার দিকে বাসায় কল দিলে ময়নার নম্বর বন্ধ পাই। তারপর নজরুলের নম্বরে কল দিয়ে ময়নার সঙ্গে কথা বলি। সোমবার সকালে বাসায় এসে দরজা বন্ধ পাই এবং গেট তালাবদ্ধ ছিল। পরে বাসার মালিককে নিয়ে তালা ভেঙে দেখি তাদের রক্তাক্ত মৃতদেহ। ভাইকেও (নজরুল) আর খুঁজে পাইনি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ। সে সবাইকে হত্যা করে পালিয়েছে।
রফিকুল আরো বলেন, নজরুল গাজীপুরের একটি হত্যা মামলার আসামি হয়ে দুই বছর ধরে জেলে ছিলেন। আড়াই মাস আগে ৪০ হাজার টাকা দেনা করে তাকে ছাড়িয়ে এনেছি। এরপর ভাইকে নিয়েই একসঙ্গে বসবাস করতাম।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com