মহাকাশ প্রতিরক্ষায় ‘গোল্ডেন ডোম’ প্রকল্পের নকশা নির্বাচন ট্রাম্পের
প্রকাশ : ২১-০৫-২০২৫ ১৩:৪০

ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীন ও রাশিয়ার সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঝুঁকি মোকাবিলায় ১৭৫ বিলিয়ন ডলারের (প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ কোটি) ‘গোল্ডেন ডোম’ প্রতিরক্ষা প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রকল্পের আওতায় মহাকাশে শত শত উপগ্রহ নিয়ে গঠিত একটি জটিল প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে; যা শত্রুপক্ষের ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত, অনুসরণ এবং প্রয়োজনে ধ্বংস করতে পারবে।
মঙ্গলবার (২০ মে) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, এই উচ্চাভিলাষী কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন ইউএস স্পেস ফোর্সের জেনারেল মাইকেল গেটলাইন। তিনি ‘গোল্ডেন ডোম’ প্রকল্পের প্রধান কর্মসূচি ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। গোল্ডেন ডোম আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করবে। তিনি আরও জানান, কানাডাও এ প্রকল্পে অংশ নিতে চায়।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে একটি নতুন কাঠামো গড়ার আলোচনা চলছে, যেখানে নোরাড ও গোল্ডেন ডোমের মতো যৌথ প্রতিরক্ষা উদ্যোগগুলো গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ‘গোল্ডেন ডোম’ তার প্রেসিডেন্সির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই, অর্থাৎ ২০২৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে কার্যকর করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে প্রতিরক্ষা খাতের বিশেষজ্ঞরা এ সময়সীমা এবং বাজেট নিয়ে সন্দিহান।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের বিশ্লেষক টম কারাকো বলেন, নতুন তথ্য অনুযায়ী প্রকল্পের বাজেট ১৭৫ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু প্রশ্ন হলো— এই ব্যয় কত বছরের মধ্যে হবে? সম্ভবত এটি একটি দশ-বর্ষ মেয়াদি প্রকল্প। মার্কিন সফটওয়্যার দক্ষতা ও সিলিকন ভ্যালির প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন কাজে লাগিয়ে বিদ্যমান ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বয় ঘটিয়ে উন্নত সুরক্ষা কাঠামো গড়া সম্ভব।
এই প্রকল্পকে ১৯৮০-এর দশকের মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের প্রস্তাবিত ‘স্টার ওয়ারস’ প্রতিরক্ষা কর্মসূচির আধুনিক রূপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ট্রাম্প নিজেও বলেন, রিগ্যান বহু আগেই এমন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চেয়েছিলেন, কিন্তু সে সময় প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ছিল না।
কংগ্রেশনাল বাজেট অফিসের সাম্প্রতিক এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে পরবর্তী দুই দশকে এর মোট ব্যয় ৮৩১ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এছাড়া, প্রকল্পটি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ, অর্থায়ন ও কংগ্রেসীয় অনুমোদনের মতো নানা জটিলতায় পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com