সাগরে এক ট্রলারের জালে ৬১ মণ ইলিশ ধরা, ৩৩ লাখ টাকায় বিক্রি
প্রকাশ : ১৫-০৭-২০২৫ ১২:৪২

ছবি : সংগৃহীত
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে একটি মাছ ধরার ট্রলারের জালে ধরা পড়েছে ৬১ মণ ইলিশ। সোমবার (১৪ জুলাই) বিকালে মাছ নিয়ে আলীপুর মৎস্যবন্দরে ফিরলে তা নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয় ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৪ টাকায়।
জেলে আবু সালেহ জানান, ‘এফ বি আল্লাহর দান’ নামের একটি ট্রলারে ২২ জন জেলে গত বৃহস্পতিবার আলীপুর ঘাট থেকে সাগরে রওনা হন। কুয়াকাটা থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূরে গভীর সাগরে জাল ফেলেন তারা। গত শনিবার বিকালে জাল তুলতেই দেখা যায়, জালে ধরা পড়েছে বিপুল পরিমাণ ইলিশ। পরে মাছভর্তি ট্রলারটি সোমবার বিকালে আলীপুর বন্দরে ফিরে আসে।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার পরে দফায় দফায় বৈরী আবহাওয়ায় অনেকটা লোকসানে ছিলাম। দীর্ঘ একমাস পরে বেশ ভালো পরিমাণ মাছ পেয়েছি।
মাছগুলো বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) মার্কেটের মেসার্স খান ফিসের আড়তে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয়। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক সাগর মিয়া বলেন, ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৭৩ হাজার টাকা, ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৫৮ হাজার টাকা এবং ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৪৪ হাজার টাকা দরে কেনা হয়েছে। ইলিশের সঙ্গে ৪০ হাজার টাকার অন্যান্য সামুদ্রিক মাছও কেনা হয়। সব মিলিয়ে মাছের দাম পড়ে ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৪ টাকা।
এর আগে ৯ জুলাই একই এলাকায় ‘এফ বি সাদিয়া-২’ ট্রলারে ধরা পড়ে ৬৫ মণ ইলিশ। সেই মাছ মেসার্স খান ফিসে বিক্রি হয় ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকায়।
মেসার্স খান ফিসের মালিক আবদুর রহিম খান বলেন, জেলেরা বড় বড় ইলিশ নিয়ে ফিরেছেন। কয়েক দিন ধরেই গভীর সমুদ্রে ভালো পরিমাণ মাছ ধরা পড়ছে।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, এখন জেলেরা ভালোই ইলিশ পাচ্ছেন। তবে গভীর সমুদ্রেই মাছ বেশি মিলছে। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সমুদ্রে বেশ ভালো পরিমাণ মাছ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বন্দরের জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ পাবেন।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com