সুদানে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত ৬০
প্রকাশ : ১২-১০-২০২৫ ১০:৫২
ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সুদানের পশ্চিমাঞ্চলের অবরুদ্ধ আল ফাশির শহরে একটি বাস্তুচ্যুত আশ্রয়কেন্দ্রে ড্রোন হামলা চালিয়েছে বিদ্রোহী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) বাহিনী। এতে অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি বলছে, শনিবার (১১ অক্টোবর) আরএসএফ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থিত একটি বাস্তুচ্যুত আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা চালায়। সেখান থেকে মরদেহগুলো এখনো উদ্ধার করা যায়নি বলে খবরে বলা হয়েছে।
স্থানীয় প্রতিরোধ কমিটি এটিকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, কয়েক মাস ধরে চলা অবরোধে শহরটিতে ক্ষুধা ও রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে, আর ক্রমাগত ড্রোন ও কামানের গোলা আশ্রয়কেন্দ্র, মসজিদ, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলোতে আঘাত হানছে।
শনিবার স্থানীয় সময় সকালে এক বিবৃতিতে আল ফাশির রেজিস্ট্যান্স কমিটি বলেছে বহু মৃতদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে। কেউ কেউ আশ্রয়কেন্দ্রের কারাভ্যানগুলোতে পুড়ে মারা গেছে। নারী, শিশু ও বয়স্কদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে।
পরে আরেক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, দুই দফা ড্রোন হামলার পর আশ্রয়কেন্দ্রটিতে আটটি কামানের গোলা আঘাত হানে। রেজিস্ট্যান্স কমিটি দাবি করেছে, এসব হামলায় শত শত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সুরক্ষার জন্য তারা নিজেদের বাড়ি ও পাড়ার ভেতরে অনেকগুলো বাংকার খুঁড়েছেন। অধিকার আন্দোলনকারী গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, সহিংসতা, ক্ষুধা ও রোগে শহরটি প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন করে লোক হারাচ্ছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে চলমান সংঘাতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। প্রায় আড়াই কোটি মানুষ তীব্র দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছেন।
আরএসএফের দখল এড়াতে দারফুরের বিশাল অঞ্চলের শেষ রাজ্য রাজধানী এল-ফাশার, পশ্চিমে আধাসামরিক বাহিনী ক্ষমতা সংহত করার চেষ্টা করার সময় যুদ্ধের সর্বশেষ কৌশলগত ফ্রন্ট হয়ে উঠেছে। শহরের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, মানবাধিকার কর্মীরা এটি ‘একটি খোলা আকাশের নীচে মর্গ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com