সুদানে দুই বছরে লাখো প্রাণহানি, চরম সংকট
প্রকাশ : ০২-১১-২০২৫ ১৩:০৫
ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গত ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ চলেছে, যা দেশের ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে শুরু হয়। সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) একে অপরের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাতে লিপ্ত। দুই বছরের বেশি সময় ধরে এই সংঘাতে দেড় লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং প্রায় এক কোটি ২০ লাখ মানুষকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে।
এই সংঘাতের পেছনে মূল দুটি ব্যক্তিত্ব হলো সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান ও আরএসএফ প্রধান জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো।
২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে উৎখাতের পর তারা একসঙ্গে কাজ করলেও, দেশ পরিচালনার ভবিষ্যৎ নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে এই উত্তেজনা সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতে রূপ নেয়।
আরএসএফ মূলত ২০১৩ সালে গঠিত আধা-সামরিক বাহিনী, যার মূল ছিল জানজাওয়িদ মিলিশিয়া। এই বাহিনী দারফুর ও অন্যান্য অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত।
চলমান গৃহযুদ্ধের সময়ে তারা পশ্চিম দারফুরের এল-ফাশের শহর দখল করে সেখানে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। সেনাবাহিনী সুদানের উত্তর ও পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে, যেখানে মিশর সমর্থন দিচ্ছে। অন্যদিকে আরএসএফ দেশের বড় অংশের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে আরেকটি সরকার গঠনের দাবি করছে। এর ফলে সুদান দ্বিতীয়বার বিভক্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দারফুরে আরএসএফ ও জোটসঙ্গীরা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে গণহত্যা ও যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। বর্তমানে এল-ফাশের সহিংসতা ও গণহত্যার কারণে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
সুদান উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার বৃহত্তম দেশ, নীল নদ ও লোহিত সাগরের সঙ্গে সীমান্তযুক্ত। দেশটি বিশ্বের স্বর্ণ উৎপাদনের অন্যতম কেন্দ্র, যদিও গৃহযুদ্ধের আগে নাগরিকদের বার্ষিক আয় খুব কম। দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত দেশকে অর্থনৈতিকভাবে আরো দুর্বল করেছে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com