সৈয়দপুরে প্রথম দুম্বার খামার, কোরবানি ঘিরে চাহিদা বাড়ার আশা
প্রকাশ : ২৮-০৫-২০২৫ ১০:৫১

ছবি : সংগৃহীত
নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় প্রথমবারের মতো গড়ে উঠেছে মরু অঞ্চলের প্রাণী দুম্বার খামার। উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের কাথারিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম ২০২২ সালে এই ব্যতিক্রমী খামার গড়ে তোলেন। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারে বেড়েছে দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের আনাগোনা।
খামারে বর্তমানে ২৬টি দুম্বা রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে ইতোমধ্যে একটি দুম্বা ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে সৈয়দপুরের এক ব্যবসায়ীর কাছে। রাজধানী ঢাকা থেকেও আরো পাঁচটি দুম্বার অর্ডার পেয়েছেন রবিউল। তিনি জানান, কোরবানির হাটে বাকি দুম্বাগুলো তোলা হবে এবং ঈদের আগেই সব বিক্রির আশা করছেন তিনি।
রবিউল ইসলামের ছোট ভাই রেজাউল ইসলাম সৌদি আরবে থাকেন। ২০২২ সালে দেশে ফেরার সময় তিনি সঙ্গে করে দুটি দুম্বা আনেন। শুরুর দিকে বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে প্রাণীগুলোর সমস্যা হলেও এক মাসের মধ্যে তারা মানিয়ে নেয়। পরের বছর সৌদি আরব থেকে আরো ছয়টি দুম্বা আনার পর খামারে প্রাণীর সংখ্যা দাঁড়ায় আটে। ধীরে ধীরে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়ায় ২৭-এ।
খামারের অধিকাংশ দুম্বাই সাদা রঙের এবং ওজনে ৫০ থেকে ১০০ কেজি পর্যন্ত। তারা সাধারণত কচি ঘাস, ভুট্টা, ভুসি ও চোকর খায় এবং তুলনামূলকভাবে কম পানি পান করে।
প্রতিদিন দুপুরের পর রবিউল খামার থেকে দুম্বাগুলোকে মাঠে চরাতে নিয়ে যান। খামারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রাণীগুলো বেশ সুস্থ ও সচল। আশপাশের অনেক উৎসুক মানুষও খামার দেখতে আসছেন। সৈয়দপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী শায়লা খাতুন বলেন, মরুর প্রাণী দুম্বা কীভাবে আমাদের আবহাওয়ায় টিকে আছে, তা দেখার কৌতূহল ছিল। এবার ঈদে আমাদের পরিবারের দুম্বা কোরবানি দেওয়ার ইচ্ছা আছে।
প্রতিবেশী কলেজশিক্ষার্থী জহুরুল ইসলামও এই খামার দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন খামার দেখতে আসি। নিজের খামার গড়ার জন্য অভিজ্ঞতা নিচ্ছি, রবিউল ভাই সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এটি নীলফামারীর একমাত্র দুম্বার খামার। আমি খামারটি পরিদর্শন করেছি। এটি একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। তুর্কি জাতের এই দুম্বাগুলো এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে। খামারিকে সব ধরনের কারিগরি সহায়তা দেওয়া হবে।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com