‘আমি প্রজাতন্ত্রের এমন চাকর, মালিককে শাস্তি দিতে পারি’
প্রকাশ : ২০-০৫-২০২৫ ১১:৫০

ছবি : সংগৃহীত
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এমরান হাসান সোহেলকে জেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বাউফলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম। সোমবার (১৯ মে) বাউফল গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে বসে তিনি এই হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি কারো ফোন ধরতে বাধ্য নই। আমাকে চিঠি দিতে হবে। আমি প্রজাতন্ত্রের এমন চাকর, মালিককে শাস্তিও দিতে পারি।’
সোমবার ওই বিদ্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের পটুয়াখালী জেলা কার্যালয় ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ইউএনও আমিনুল ইসলাম অংশ নেন। এ সময় কমিটির সভাপতি এমরান হাসান সোহেলের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়।
এমরান হাসান সোহেল জানান, অনুষ্ঠান উপলক্ষে ইউএনওকে আমন্ত্রণ জানাতে তারা টানা তিনদিন তার কার্যালয়ে যান, কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি ফোন করলেও ইউএনও রিসিভ করেননি। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের আমন্ত্রণে ইউএনও অনুষ্ঠানে আসেন।
ইউএনও সেখানে এসে ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, আপনারা ইউএনওকে না জানিয়ে আয়োজন করেন কীভাবে? এসময় সোহেল পাল্টা জবাবে বলেন, আপনার অফিসে তিনদিন গেছি, ফোনও করেছি। আপনি রিসিভ করেননি। আপনি তো জানতেই পারলেন না ফোনটা ব্যক্তিগত না রাষ্ট্রীয়!
জবাবে ইউএনও বলেন, আপনারা প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি হয়ে রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি হয়ে গেছেন মনে করেন?
এ পর্যায়ে ইউএনও আরো বলেন, বাংলোতে না এসে শুধু কমপ্লেক্সে গেছেন কেন? কমপ্লেক্সে তো কাউয়া বক থাকে। সোহেল পাল্টা বলেন, আপনার বাংলোয় কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় না।
ঘটনার বিষয়ে জানতে ইউএনও আমিনুল ইসলামের অফিসিয়াল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি। এ বিষয়ে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে আমি এখনো কিছু জানি না। বিস্তারিত তথ্য পেলে মন্তব্য করতে পারব।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com