‘কারাগারে নয়, আমরা ছিলাম ইসরায়েলের কসাইখানায়’
প্রকাশ : ১৪-১০-২০২৫ ১১:৪৬
ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরায়েলে বন্দিজীবন শেষে মুক্তি পাওয়া গাজার খান ইউনিস শহরের কয়েকজন ফিলিস্তিনির সঙ্গে কথা বলেছে আল–জাজিরা। তাদের মধ্যে একজন, আবদাল্লাহ আবু রাফি, নিজের মুক্তির অনুভূতিকে এককথায় বর্ণনা করেছেন— ‘অসাধারণ’।
আবু রাফি বলেন, ‘আমরা কারাগারে নয়, ছিলাম এক কসাইখানায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই কসাইখানার নাম ছিল ওফের কারাগার। অনেক তরুণ এখনো সেখানে আছে। ইসরায়েলের কারাগারগুলোর অবস্থা খুবই ভয়াবহ। সেখানে কোনো তোশক নেই— সব সময় তোশকগুলো নিয়ে যায়। খাবারের মান খুব খারাপ। সবকিছুই সেখানে কঠিন।’
আরেক মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি ইয়াসিন আবু আমরা ইসরায়েলের কারাগারের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেন, ‘খুব, খুব খারাপ। খাবার, নির্যাতন, প্রহার— সবদিক থেকেই অবস্থা ভয়ানক। সেখানে খাবার বা পানি কিছুই ছিল না। আমি টানা চার দিন কিছু খাইনি। এখানে (খান ইউনিসে) এসে আমাকে দুটি মিষ্টি দেওয়া হয়েছে, আমি ওগুলোই খেয়েছি।’
মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন সাইদ শুবাইরও। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। কারাগারের বাইরে মুক্ত আকাশে সূর্য দেখা— এক অবর্ণনীয় অভিজ্ঞতা। আমার হাত এখন শৃঙ্খলমুক্ত। স্বাধীনতার কোনো মূল্য হয় না; এটি অমূল্য।’
ইসরায়েল সাম্প্রতিক সময়ে অনেক ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে, যাদের অনেকে আজীবন বা দীর্ঘ মেয়াদের সাজা ভোগ করছিলেন। পাশাপাশি গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আটক করা আরো অনেক ফিলিস্তিনিকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ এই বন্দীদের ‘বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তি’ হিসেবে বিবেচনা করেছিল।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com