weather ২৯.৯৯ o সে. আদ্রতা ৬২% , মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ পহেলা বৈশাখ, স্বাগত বাংলা নববর্ষ ১৪৩২

প্রকাশ : ১৪-০৪-২০২৫ ০৯:৪৩

ছবি : সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ সোমবার পহেলা বৈশাখ; বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর প্রথম দিন। বছর ঘুরে আবারো ফিরে এসেছে বাংলা নববর্ষ। তবে এবারের বর্ষবরণ বাংলাদেশের সকল নাগরিক, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের কাছে অন্যরকম এক উৎসবের আবহ তৈরি করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই প্রথমবারের মতো দেশের সকল নাগরিক, সকল সম্প্রদায় ও নৃগোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধভাবে আজ সর্বজনীন লোকউৎসব ‘পহেলা বৈশাখ’ উদযাপন করছে। এ বছর পহেলা বৈশাখ এসেছে নতুন ভোরের বার্তা নিয়ে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিজয়ের আবহেই এসেছে এবারের পহেলা বৈশাখ।

পুরোনো ব্যর্থতা ঝেরে ফেলে সবার কল্যাণ কামনায় উদ্যাপিত হচ্ছে নববর্ষের উৎসব। নববর্ষকে আবাহন জানিয়ে বহুকণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো...।’

বাংলা নববর্ষের চেয়ে বড় কোনো সর্বজনীন উৎসব দেশে আর নেই। এ কারণে মানুষে মানুষে মহাপ্রাণের মিলন ঘটানোর বর্ষবরণের এই উৎসব গভীর তাৎপর্যময় হয়ে আছে আমাদের জীবনে। এবারের উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। মূল প্রতিপাদ্য সামনে রেখে জাতীয়ভাবে রাজধানীসহ সারা দেশে ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে নববর্ষ উদ্যাপনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। উৎসব অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সব জাতিসত্তার প্রতিনিধিদের নিজ নিজ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রমনার বটমূলে বর্ষবরণের ঐতিহ্যবাহী অন্যতম প্রধান অনুষ্ঠান আয়োজন করছে ছায়ানট।

রাজধানীর বর্ষবরণের অন্যতম বর্ণাঢ্য আয়োজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শোভাযাত্রা। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র বদলে এবার ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামকরণ করা হয়েছে। এই শোভাযাত্রার যে মোটিফগুলো তৈরি করা হয়েছিল, তার মধ্যে ২০ ফুট উচ্চতার ‘স্বৈরাচারের মুখাকৃতি’ নামের মোটিফটি শনিবার ভোররাতে কে বা কারা আগুনে পুড়িয়ে দেয়। চারুকলা অনুষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ঘটনার পরও তাদের শোভাযাত্রা বর্ণাঢ্যভাবেই পথে নেমেছে পয়লা বৈশাখ সকালে।

এদিকে রবিবার বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। এই অভ্যুত্থান বৈষম্যহীন, সুখী-সমৃদ্ধ, শান্তিময় ও আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের প্রেরণা দেয়। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এই বাংলা নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার।

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ সেজে উঠেছে নতুন সাজে, নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। বাঙালি জাতির শাশ্বত ঐতিহ্যের প্রতীক এ দিনটি উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

পয়লা বৈশাখ মানেই পান্তা-ইলিশ, আর পান্তা-ইলিশ মানেই যেন বাঙালির এক অন্যরকম রসনা ও রীতি। যদিও ইলিশের বাড়তি দামে নাখোশ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ। 

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ৮ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সরকার প্রথমবারের মতো  ১৪৩২ সালের বাংলা নববর্ষ এবং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা এবং গারো সহ অন্যান্য নৃ-গোষ্ঠীর নববর্ষ উদযাপনের জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উৎসব আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে।

এর আগে, ২৩ মার্চ বাংলাদেশ সচিবালয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়।

ঋতুর ওপর নির্ভরশীল কৃষিকাজ, আর কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল খাজনা আদায়। কৃষিনির্ভর বাংলার মানুষের সুবিধার্থে মোঘল সম্রাট আকবর বাংলা সন প্রবর্তন করেন। হিজরি চান্দ্র সন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত নতুন সনটিই একসময় ‘বঙ্গাব্দ’ নামে পরিচিত হয়।

বহু আগে থেকেই বাংলার কৃষক ও গৃহস্থরা চৈত্র মাসের শেষদিন ‘চৈত্রসংক্রান্তি’ পালন করতেন। কৃষকেরা এদিন ভূস্বামীদের হাতে বাকি থাকা সকল খাজনা তুলে দিতেন, আর ব্যবসায়ীরা পুরোনো বছরের সকল লেন-দেনের হিসাব চুকিয়ে নতুন বছর উপলক্ষে খুলতেন লালসালু মোড়ানো নতুন হালখাতা, যা এখনো ধরে রেখেছেন বাংলার অনেক ব্যবসায়ী।

বাঙালির জীবনচক্রে প্রকৃতির মেজাজি সন্তান বৈশাখ যেন অনিবার্য। তাইতো এবারের পহেলা বৈশাখও এসেছে ভিন্ন রূপে। এ বৈশাখ শুধু ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে নতুন বছর শুরু করার নয়, এ একটি নতুন সময়ের সূচনা। 

অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিজয়ের আবহেই আসছে এবারের পহেলা বৈশাখ। চারদিকে উৎসবের রঙ, মুখে মুখে শুভেচ্ছা, কিন্তু এর মাঝে রয়েছে এক আশার বার্তা। সে বার্তা বদলে যাওয়ার, নতুন দেশ গড়ে তোলার।

বছরের প্রথম দিনটিকে আরো উৎসবমুখর করে তোলে শোভাযাত্রা ও বৈশাখী মেলা। এগুলো মূলত সর্বজনীন লোকজ উৎসব। বাঙালির আনন্দঘন লোকায়ত সংস্কৃতির ধারক গ্রামীণ বৈশাখী মেলাগুলোতে মেলে স্থানীয় কৃষিজাত দ্রব্য, কারুপণ্য, লোকশিল্পজাত পণ্য, কুটির শিল্পজাত সামগ্রী, সব প্রকার হস্তশিল্পজাত ও মৃৎশিল্পজাত সামগ্রী, খেলনা এবং বিভিন্ন লোকজ খাদ্যদ্রব্য যেমন- চিড়া, মুড়ি, খৈ, বাতাসা, বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি প্রভৃতির বৈচিত্র্যময় সমারোহ। আরো থাকে নাগরদোলা, পুতুলনাচ, যাত্রা, লোকজ গানের আসরসহ নানা বিচিত্র বিনোদন।

যুগ যুগ ধরে চলে আসা এ আনন্দ উৎসবটি একসময় আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে যায় এবং বাংলার চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি এখনো পালিত হচ্ছে। 

সরকারের নেওয়া কর্মসূচি অনুযায়ী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, মহানগর ও পৌরসভা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন পহেলা বৈশাখের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তিন পার্বত্য জেলা এবং অন্যান্য নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক দলগুলির শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের সমন্বয় করবে। পহেলা বৈশাখকে স্বাগত জানাতে ভোরে রমনা বটমূলে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ছায়ানট। বাংলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক), বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং বাংলাদেশ লোকশিল্প ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছে।

কর্মসূচি অনুসারে, পহেলা বৈশাখে প্রতিটি ইউনিয়ন, জেলা ও উপজেলা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকল নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের জন্য বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। সেইসঙ্গে, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ির জাতিগত গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো একই সঙ্গে বৈসাবি উৎসব উদযাপন করছে।

জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকছে সকল জাদুঘর এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। শিশু ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য এদিন লাগবে না কোনো টিকিট।

এদিকে বিপুলসংখ্যক অতিথির সমাগম উপলক্ষে দেশবাসীর উৎসাহের কেন্দ্রবিন্দু- পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সিসিটিভি ক্যামেরা, আর্চওয়ে গেইট, হেল্প ডেস্ক, কন্ট্রোল রুম, অস্থায়ী পাবলিক টয়লেট এবং অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্পসহ নেওয়া হয়েছে নানা ধরনের ব্যবস্থা।

পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে জনগণের উদযাপনকে নিরাপদ ও সহজ করতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। রবিবার সকালে রমনা বটমূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে এক ব্রিফিংয়ে  র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ঘিরে পুলিশ, র‌্যাবসহ গোয়েন্দা বাহিনী সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। সেইসঙ্গে দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি, শাহবাগ, রমনা, হাতিরঝিলসহ যেসব জায়গায় জনসমাগম হচ্ছে, সেখানে র‌্যাবের পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন থাকছে। যে কোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে বলে জানান তিনি।

সরকারের নেওয়া কর্মসূচি অনুসারে, বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের পরিবর্তে সংবাদপত্রগুলোতে পহেলা বৈশাখের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ ফিচার প্রকাশ করেছে। এই উপলক্ষের উপর জোর দিয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলসহ  অন্যান্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো অনুষ্ঠান সম্প্রচার ও চিত্রিত প্রতিবেদন প্রকাশ করছে।

গণঅভ্যুত্থান বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আসুন, আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে চলি।’

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে তিনি দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে ‘পহেলা বৈশাখ’ বিশেষ স্থান দখল করে আছে। পহেলা বৈশাখ বাঙালির সম্প্রীতির দিন, মহামিলনের দিন। 

তিনি বলেন, আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র বাঙালি জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণ স্পন্দনে, নব-অঙ্গীকারে। 

তিনি আরো বলেন, সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে এদিনে বাঙালি রচনা করে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত মুঘল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। নববর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল উদ্যোগের সাফল্য কামনা করেন তিনি।

পিপলসনিউজ/আরইউ

-- বিজ্ঞাপন --


CONTACT

ads@peoplenewsbd.com

সাবেক হুইপ ও এমপি পঞ্চানন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা সাবেক হুইপ ও এমপি পঞ্চানন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চোরের বদলে চার্জশিটে বিচারকের নাম, তোলপাড়! চোরের বদলে চার্জশিটে বিচারকের নাম, তোলপাড়! আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির শেখ হাসিনা ও জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি শেখ হাসিনা ও জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ব্রিটিশ এমপি টিউলিপসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা ব্রিটিশ এমপি টিউলিপসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা