ফরিদা পারভীনের মৃত্যুর গুজব, দোয়া চাইলেন স্বামী
প্রকাশ : ০৮-০৭-২০২৫ ১৪:০৯

ছবি : সংগৃহীত
বিনোদন প্রতিবেদক
বরেণ্য লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন ভাওইয়া শিল্পী ও গীতিকার একেএম মোস্তাফিজুর রহমান।
মোস্তাফিজুর রহমান এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে বলেন, সকালে গাজী ভাইয়ের (ফরিদা পারভীনের স্বামী যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম) সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন ফরিদা আপার অবস্থা বেশ সঙ্কটাপন্ন। তার শারীরিক অবস্থা ভীষণ খারাপ। তিনি ফরিদা আপার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়াও চেয়েছেন।
এদিকে গাজী আব্দুল হাকিমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থা ভালো নেই, এটি সত্য। কিন্তু উনি এখনো বেঁচে আছেন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। ফেসবুকে তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়েছে, যা পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার না করার জন্য অনুরোধ করছি।
এদিকে সোমবার রাত থেকে ফরিদা পারভীনের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এ প্রসঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গাজী ভাই আরো বলেছেন, ফেসবুকে ফরিদা পারভীনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় তার পরিবারের সবার খারাপ লাগছে। এমন কাজ থেকে সবাইকে বিরত থাকারও অনুরোধ জানিয়েছেন।
ফরিদা পারভীন গত কয়েক বছর ধরে কিডনির রোগ, শ্বাসকষ্টজনিত রোগসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। সম্প্রতি ডায়ালাইসিস করতে গিয়ে শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে ৫ জুলাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত এ সংগীতশিল্পী।
১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন।
ফরিদা পারভীন ১৯৮৭ সালে সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান। এ ছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ১৯৯৩ সালে। শিশুদের লালনসংগীত শিক্ষার জন্য ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামে একটি গানের স্কুল গড়ে তুলেছেন তিনি।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com